সংসদ অধিবেশনে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদের মুজিব কোট পরে যাওয়া নিয়ে মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
মুজিব কোট সাধারণত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পরে থাকেন। বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিবের এ পোশাক পরা নিয়ে গতকাল দিনভর রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ আলোচনা হয়।
তবে সংসদে মুজিব কোট পরে যাওয়ার খবর উড়িয়ে দিয়েছেন হারুন অর রশিদ। বলেছেন, তিনি যেটি পরেছিলেন, তা মুজিব কোট নয়, সেটি ছিল কটি।
হারুন বলেন, ‘আমি ব্লু কালারের (নীল রঙ) কটি পরেছি। পাঞ্জাবির সঙ্গে এই কটি সবাই পরে থাকে। এটি নতুন কিছু নয়।’
‘মুজিব কোট হয় কালো রঙের। মুজিব কোর্ট তো পরেন, যারা আওয়ামী লীগ করেন। আমি মুজিব কোট পরতে যাব কেন? আমি তো শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের গঠিত বিএনপি করি, বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি’– যোগ করেন বিএনপির এ নেতা।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যে আটজন নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের মধ্যে হারুন অন্যতম। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত হন। বিএনপির নির্বাচন বর্জন ও সংসদে না যাওয়ার সিদ্ধান্তের মধ্যে তার শপথ ঘিরে তখন বেশ বিতর্কের সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত বিএনপি সংসদে যায়। বিএনপিকে সংসদে নেয়ার ক্ষেত্রে হারুনের ভূমিকা রয়েছে বলে দলটির ভেতরে-বাইরে আলোচনা আছে।
এবার করোনাভাইরাস মহামারীকালে সংসদের চলতি বাজেট অধিবেশনে সাংবাদিক কিংবা অতিথিদের ঢোকার সুযোগ রাখা হয়নি। টিভি দেখেই সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
হারুন বলেন, সংসদে না এসে আমার পোশাক নিয়ে যে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে, তা সঠিক নয়। আমাকে হেয় করার জন্য গণমাধ্যমে এই সংবাদটি প্রচার করা হয়েছে– এটি দুঃখজনক।
সংসদ সদস্যদের পোশাক নয়, বক্তব্য নিয়ে আলোচনা হওয়াটা বাঞ্ছনীয় বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই সংসদ সদস্য।
মঙ্গলবার সংসদে বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন বিএনপির এই সংসদ সদস্য।
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারের দাবিও তোলেন তিনি।
এর প্রতিবাদ জানান সরকারি দলের সদস্যরা। তুমুল হইচইয়ের মধ্যে ওয়াকআউট করেন হারুন।