সঞ্জিত কুমার শীল, আবুধাবিঃ সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে মহান বিজয় দিবস ও বাংলাদেশের মহান বিজয়ের ৫০ বছরপূর্তি উদযাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে আবুধাবির বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে প্রবাসীদের নিয়ে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর।
এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তাসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনতা ব্যাংক, বাংলাদেশ বিমান, বাংলাদেশ স্কুলের উপদেষ্টা, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও বাংলাদেশ সমিতির নেতারা, ইঞ্জিনিয়ার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার স্থানীয় প্রতিনিধিরা এবং বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন।
এরপর রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর উপস্থিত বিভিন্ন সংগঠন এবং ব্যক্তিরা তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দূতাবাস মিলানায়তনে রাষ্ট্রদূতের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
পরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মাননীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান দূতাবাসের কর্মকর্তা। রাষ্ট্রদূত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের এদিনে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়। বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির জনগণের জীবনমান বৃদ্ধি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে সমগ্র বিশ্বে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত সম্মানের আসনে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ একটি দায়িত্বশীল ও প্রগতিশীল রাস্তা এবং উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির একটি এবং বর্তমান অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে ২০৩৫ সালের মধ্যে এটি পৃথিবীর ২৫তম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হবে।
পরে জাতির পিতা, মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদ এবং বীরাঙ্গনাদের স্মরণে মোনাজাত করা হয়।