আব্দুল্লাহ আল শাহীনঃ মধ্যপ্রাচ্যের গরমের ব্যাপারে কম বেশ সবার জানা৷ আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসে ৫০/৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকে৷ অক্টোবরের শেষের দিকে তাপমাত্রা আস্তে আস্তে কমা শুরু করে৷ নভেম্বরের শুরুতে শীতের আগমন ঘটে আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সমুহে৷
শীতের আগমনে তরুণ প্রবাসীদের মধ্যে ভিন্ন মাত্রার আনন্দ কাজ করে৷ বিশেষ করে স্বাস্থ্য সচেতন তরুণ প্রবাসীরা ছুটির দিন ভোরবেলা ও কেউ কেউ প্রতিদিনই বিকেলে বিভিন্ন জায়গায় দলবেঁধে ক্রিকেট খেলতে দেখা যায়। পাথর-বালুর মিশ্রণের মাঠে ক্রিকেট খেলা নিরাপদ না হলেও থেমে থাকেন না প্রবাসীরা৷
অক্টোবর মাসের শেষে ও নভেম্বর মাসের শুরুতে আমিরাতের বিভিন্ন প্রদেশের খালি জায়গায় ক্রিকেট খেলতে দেখা যায় প্রবাসীদের। শারজাহ আল কাসবা পার্কের পাশে খোলা মাঠে শীতের মৌসুমে ক্রিকেট খেলেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি কাসবা ক্রিকেট টিমের একজন সদস্য। তিনি বলেন, ‘প্রতি শীতের মৌসুমে খেলোয়াড়েরা একত্রিত হোন৷ বাংলাদেশি ছাড়াও আল কাসবা ক্রিকেট টিমে রয়েছেন, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়৷ দূর প্রবাসে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ভোর ৬টায় শুরু হয়ে দুই ঘন্টার মতো চলে খেলা৷ সাপ্তাহিক ছুটির দিনকে কেন্দ্র করে একাধিক টিম নিয়ে টুর্নামেন্টও চলে। এই টুর্নামেন্টে আমরা অংশ নেই।’
সিলেটের তরুণ হোসেন আহমদ মাস পাঁচেক আগে আমিরাতে এসেছেন। তিনি বলেন, আমি দেশে ক্রিকেট খেলতাম৷ এখানে আসার পর গরমের মৌসুমে খেলাধুলা করতে কাউকে দেখিনি। গত দুই সপ্তাহ থেকে বাসার পাশে শুক্রবার ভোরবেলা একটি খোলা মাঠে ক্রিকেট খেলতে যাই।’
আবুধাবি, শারজাহ, দুবাই, আজমানের বিভিন্ন খোলা মাঠে টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়৷ মাঝেমধ্যে ঘাসের মাঠ ভাড়া নিয়েও খেলেন প্রবাসীরা৷ মূলত খেলাধুলা চলে কেবল শীত কেন্দ্রিক।