সংযুক্ত আরব আমিরাতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উৎসব।
শনিবার সন্ধ্যায় দুবাইয়ে বাঙালির দুই দিকপালের জন্ম উৎসব পালন করা হয়েছে।
প্রবাসে বাংলা সাহিত্যের দুই দিকপালের স্মরণে শনিবার ইয়াসমিন ইসলাম মেরুনার কণ্ঠে নজরুল সঙ্গীত দিয়ে জয়ন্তী উৎসব শুরু হয়৷
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবু জাফর।
পুরো সন্ধায় রবীন্দ্রনাথ এবং নজরুলের সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলা সাহিত্যের দুই দিকপালকে স্মরণ করা হয়। বাঙালির হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল যেন চিরঅম্লান হয়ে রয়েছেন-সেটিই সুর আর সংগীতে ফুটে উঠেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মুহাম্মদ আবু জাফর বলেন, , “আজকের আয়োজনের মধ্যদিয়ে বাংলা সাহিত্যের দুই দিকপালের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে। দুই দার্শনিক আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাদের সাহিত্য অনুবাদ হয়৷ মানবাধিকার ও নারী জাগরণসহ বর্তমান সময়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোও দুই দিকপাল অনেক আগেই উপস্থাপন করে গিয়েছেন৷ জলবায়ু সমস্যা নিয়ে তাদের সাহিত্যে ফুটিয়ে তুলেছেন।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে, কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। এরপরই দুই বাঙলার শ্রেষ্ঠ দুই বাঙালি হচ্ছেন- রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল। নজরুলের লেখা ‘পূর্ণ-অভিনন্দন’ ও ‘বাংলাদেশ’ কবিতা থেকেই বঙ্গবন্ধু ‘জয় বাংলা’ ও ‘বাংলাদেশ’ শব্দ দুটো নিয়েছিলেন। যা স্বাধীনতা সংগ্রামে মূল স্লোগান ও দেশের নাম হিসেবে স্বীকৃতি পায়।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ডেপুটি কনসাল জেনারেল সাহেদুল ইসলাম, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুবাইয়ের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক সাকিয়া সুলতানা প্রমুখ।
জয়ন্তী অনুষ্ঠানে নানা পরিবেশনায় অংশ নেন মেরুনা, সামিদা চৌধুরী, তাসনিম জান্নাত, আলমা, নাজমুল হক, স্নিগ্ধা তিথী, রুহিন হোসেন, সৌগত চ্যাটার্জী, দেব মূখার্জী, কৌশিক মীনাক্ষী চক্রবর্তীসহ দুই বাংলার শিল্পীরা।