সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় পাবলিক প্রসিকিউশন মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারে একটি পোস্টের মাধ্যমে ধর্ম অবমাননার অপরাধের বিষয়টি স্পষ্ট করেছে। প্রসিকিউশন উল্লেখ করে, ২০১৫ সালের ফেডারেল ডিক্রি আইন নম্বর ২-এর ধারা ৪ অনুযায়ী- যদি কেউ নিম্নলিখিত কাজ করে তবে তাকে ব্লাসফেমির অপরাধের অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হবে :
১. আপত্তিকর, ঐশ্বরিক সত্তার প্রতি অবজ্ঞা বা অসম্মান প্রদর্শন।
২. কোনো ধর্ম বা এর কোনো আচার-অনুষ্ঠান বা পবিত্র জিনিসকে অবমাননা করা, অপমান করা, চ্যালেঞ্জ করা, মানহানি করা বা অসম্মান করা। অথবা সহিংসতা বা হুমকির মাধ্যমে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়া।
৩. যেকোনো উপায়ে পবিত্র গ্রন্থের বিকৃতি, ধ্বংস, অপমান বা অবমাননা।
৪. একজন নবী বা রসুল বা তাদের পত্নী, পরিবার বা সহচরদের অপমান, অসম্মান করা।
৫. উপাসনালয়, কবরস্থান বা কবর, উপস্থাপক বা তাদের বিষয়বস্তুর পবিত্রতা ধ্বংস করা, ক্ষতি করা বা অপবিত্র করা।
পাবলিক প্রসিকিউশনের ব্যাখ্যা- একই ডিক্রির ৫ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে- যদি কেউ আইনে নির্ধারিত যেকোনো কাজ করে তাকে পাঁচ বছরের কম সময়ের জন্য কারাদণ্ড অথবা আড়াই থেকে ১০ লাখ দিরহাম অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
একই অনুচ্ছেদে আরো বলা হয়েছে, যদি কেউ এর ধারা ৪ এর ১ এবং ৪-এ বর্ণিত যেকোনো কাজ করে তাকে কমপক্ষে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং সর্বনিম্ন পাঁচ থেকে সর্বোচ্চ ২০ লাখ দিরহাম অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
সূত্র : গালফ টুডে