
পৃথিবীর ফুসফুস খ্যাত আমাজন রক্ষায় চলছে বৃক্ষরোপণ। কোনোভাবেই যখন বন উজাড় থামানো যাচ্ছে না, তখন আমাজনে গাছ লাগিয়ে পরিবেশ রক্ষার চেষ্টা করছেন পরিবেশকর্মীরা। বিপুল জায়গাজুড়ে রোপণ করা হচ্ছে লাখ লাখ গাছ। যদিও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য। তবে আশার কথা, গাছ রোপণে ক্রমেই বাড়ছে মানুষের আগ্রহ। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
দাবানলের পাশাপাশি প্রতি বছর মানুষের আগ্রাসনেও উজাড় হচ্ছে পৃথিবীর ফুসফুস আমাজনের মাইলের পর মাইল বনভূমি। সেই ধ্বংস হওয়া বনভূমি পুনরুদ্ধারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় রেইন ফরেস্টে চলছে বৃক্ষরোপণ।
ব্ল্যাক জাগুয়ার ফাউন্ডেশন, রিওটেরার মতো সংস্থাগুলো প্রতিদিনই আমাজনে গাছ রোপণ করছে। যদিও যে পরিমাণ গাছ লাগানো হচ্ছে, প্রতিদিন কাঁটা হচ্ছে তারচেয়ে অনেকগুণ বেশি। ব্রাজিল সরকারের হিসেবে, গত বছর প্রতি মিনিটে তিনটি ফুটবল মাঠের সমান এলাকা উজাড় হয়েছে আমাজনে।
পরিবেশবিদরা বলছেন, আমাজনের পূর্বের রূপ ফিরিয়ে আনতে দুটি জার্মানির সমান এলাকার বনভূমি পুনরুদ্ধার করতে হবে। গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটনের সমান এলাকায় ৭০ লাখ গাছ লাগিয়েছে রিওটেরা। এতে প্রতি বছর তাদের ব্যয় ২৩ লাখ ডলার। ২০৩০ সালের মধ্যে যা দ্বিগুণ করতে চায় সংস্থাটি। ব্লাক জাগুয়ারের লক্ষ্য আরও বড়। আগামী ২০ বছরে অন্তত ২৭০ কোটি ডলার খরচ করে ১৭০ কোটি গাছ লাগানোর লক্ষ্য তাদের।