তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: আমনের আগাম হাইব্রিড ধানের বাম্পার ফলন, দাম নিয়ে দুশ্চিন্তা আবহাওয়া চাষের অনুকূলে থাকায় মৌলভীবাজারে উচ্চ ফলনশীল ও হাইব্রিড জাতের আগাম আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে আধুনিক যন্ত্রের (কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন) মাধ্যমে ধানকাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। তবে ধানের ভালো ফলনে খুশি হলেও- উৎপাদন খরচ উঠানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অনেক কৃষকরা।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার একাটুনা ইউনিয়নে গেলে দেখা যায়, ফসলের বিস্তৃর্ণ মাঠজুড়ে আমনের ব্যাপক সমাহার। হেমন্তের বাতাসে দুলছে সোনালি ধানের গোছা; আর তা দেখে আনন্দে উচ্ছ্বসিত এলাকার কৃষকরা।
বানগাঁও এর শাহজাহান মিয়া, কাইয়ূম আহমদ ও দক্ষিণ সিংকাপন গ্রামের কৃষক রাজন আহমদসহ এ রকম একাধিক কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারের দেয়া বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্বুদ্ধকরণে এ বছর মৌলভীবাজারে উচ্চফলনশীল আগাম নতুন জাতের ধান চাষ হয়েছে। উন্নতজাত ও হাইব্রিড এরমধ্যে রয়েছে, বিনা-৭, ১৭, ব্রি-৩৯, ৭৫, ৮৭ ও ব্রি- ৯০। এ ছাড়া হাইব্রিড এরাইজ ধানী গোল্ড, এরাইজ -৭০০৬ সহ আরও অন্যান্য জাত।
কৃষি বিভাগ জানায়, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আগাম জাত আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। আর উৎপাদন ধরা হয়েছে- প্রতি হেক্টরে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ মেট্রিক টন। কৃষকরা ব্যাপক আনন্দ উৎসব নিয়ে আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে ধানকাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এরইমধ্যে প্রায় দুই থেকে আড়াই শতাংশ আগাম জাত আমন কাটা সম্পন্ন হয়েছে।
মৌলভীবাজারে ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে আধুনিক যন্ত্রের (কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন) মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কৃষকরা।
এ দিকে আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে (কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন) স্বল্প সময়ে ধান ঘরে উঠিয়ে সরিষা চাষের প্রস্তুতির কথা জানালেন অনেক কৃষক। তবে এ বছর আমনের ভালো ফলনে কৃষকরা খুশি হলেও- উৎপাদন খরচ উঠানো নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায়।
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামছুদ্দিন আহমদ জানান, এবারে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়নি। সরকারের সার্বিক সহায়তায় হাইব্রিড ও উন্নতজাতের ধান চাষে কৃষকরা আগ্রহী হয়েছেন। এতে ব্যাপকভাবে আমন চাষ হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, মৌলভীবাজারে এ বছর এক লাখ ৬৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হলেও উৎপাদন ধরা হয়েছে তিন লাখ এক হাজার ৯১৮ মেট্রিক টন চাল।