জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বছরে- “শতবর্ষে জাতির পিতা সুবর্ণে স্বাধীনতা/ অভিবাসনে আনবো মর্যাদা ও নৈতিকতা”- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ দূতাবাস, আবুধাবিতে যথাযোগ্য উৎসাহ উদ্দীপনায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন করা হয়। বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী উপস্থিত ছিলেন।
দূতাবাসের লেবার কাউন্সিলর (লোকাল) লুৎফুন্নাহার নাজিমের সঞ্চালনায় পবিত্র কোরআন হতে তেলাওয়াত এর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। অতঃপর, দিবস উপলক্ষ্যে প্রদত্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ। এরপর, উপস্থিত প্রবাসীগণ তাদের বক্তব্য তুলে ধরাসহ ব্যক্তিগত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোকপাত করেন। উপস্থিত মান্যবর রাষ্ট্রদূত এবং দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ তাৎক্ষনিক অনেক সমস্যার সমাধান করে দেন, একইসাথে সমস্যার সমাধানে করণীয় বিষয়ে উপদেশ প্রদান করেন।
পরবর্তীতে, মান্যবর রাষ্ট্রদূত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশীগণ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রভূত ভূমিকা রেখে চলেছেন। প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে অন্যতম প্রধান স্তম্ভ। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীনের পরেই উপসাগরীয় এই দেশটি সর্ব প্রথম সফর করেছিলেন ফলে উন্মুক্ত হয়েছিলো এদেশে প্রবাসী বাংলাদেশীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ। বঙ্গবন্ধুর সুদূর প্রসারী নেতৃত্বের কল্যানেই উপসাগরীয় দেশগুলোতে বাংলাদেশী অভিবাসীদের আগমন শুরু হয়েছিলো যার সুফল এখনো বাংলাদেশের মানুষ ভোগ করছে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনায় বর্তমান সরকার অভিবাসন উন্নয়ন ও অভিবাসী বাংলাদেশীদের স্বার্থ, নিরাপত্তা ও অধিকার সুরক্ষায় আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মান্যবর রাষ্ট্রদূত মহোদয় সকল প্রবাসী বাংলাদেশীদের নিজ নিজ অবস্থান হতে স্বাধীনতার ৭০ বছরের মধ্যে উচ্চ আয়ের উন্নত সমৃদ্ধ দেশে তথা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে কাজ করার আহ্বান জানান।
উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সঞ্চালক অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।