ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৩৫ ধাপ এগিয়ে থাকা আফগানিস্তানের সঙ্গে আগের ম্যাচে ড্র করে বেশ আত্মবিশ্বাস পেয়েছে বাংলাদেশ দল। সেটাকে পুঁজি করে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে ভালো কিছু করে দেখাতে চায় তারা। আর এই প্রত্যাশা পূরণ না হলে ভীষণ হতাশ হবেন বলে জানিয়েছেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের কোচ জেমি ডে।
আগামীকাল সোমবার ২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইপর্বে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। কাতারের জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত আটটায়।
বাছাইয়ে দুই দলের প্রথম দেখায় ভারতের মাঠ থেকে পয়েন্ট নিয়ে ফিরেছিল বাংলাদেশ। কলকাতার সল্ট লেক স্টেডিয়ামে এগিয়ে গিয়েও স্বাগতিকদের সঙ্গে ড্র করেছিল ডের শিষ্যরা।
ফিরতি পর্বের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের মাটিতে। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে গ্রুপের সবগুলো খেলা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে কাতারে। ভারতকে মোকাবিলা করার আগের দিন রবিবার সংবাদ সম্মেলনে ডে বলেছেন, দৃঢ় মনোবল নিয়ে মাঠে নামবেন তারা, ‘আমরা আগামীকালের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে আমরা অনেক আত্মবিশ্বাস নিচ্ছি।’
বাংলাদেশের র্যাঙ্কিং ১৮৪। ভারত ৭৯ ধাপ এগিয়ে অবস্থান করছে ১০৫ নম্বরে। প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তা সম্পর্কে অবগত আছেন বাংলাদেশের কোচ, ‘আমরা জানি, ম্যাচটা অনেক কঠিন হতে যাচ্ছে। ভারত আমাদের চেয়ে র্যাঙ্কিংয়ে প্রায় ৮০ ধাপ এগিয়ে আছে। তারা আগের ম্যাচগুলোতে আক্রমণে যাওয়ার ক্ষেত্রে দারুণ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। তারা ভারসাম্য ও তেজের ছাপ দেখিয়েছে।’
প্রতিবেশী দেশের বিপক্ষে ভালো ফল পেতে নিজেদের সর্বোচ্চটা উজাড় করে দেওয়ার বিকল্প দেখছেন না ব্রিটিশ নাগরিক ডে, ‘যদি ম্যাচটি থেকে আমরা কিছু পেতে চাই, তাহলে আমাদের নিজেদের সেরাটা দিতে হবে। আমরা মুখিয়ে আছি। আশা করি, আমরা ভালো পারফর্ম করতে পারব। যদি না পারি, তাহলে আমরা খুবই হতাশ হব। তবে এই মুহূর্তে আমরা অনেক আত্মবিশ্বাসী।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সঙ্গে মুখোমুখি দেখায় জয়ের হিসাবে ১৪-৩ ব্যবধানে এগিয়ে আছে ভারত। তবে দুই দলের সবশেষ তিন সাক্ষাৎ শেষ হয়েছে সমতায়। ভারতের কাছে শেষবার বাংলাদেশ হেরেছিল ২০০৯ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে।