টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দিয়ে সেন্ট লুসিয়া থেকে ডমিনিকা পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। বিভীষিকাময় এই যাত্রায় অসুস্থ হয়ে পড়েন দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারসহ কোচিং স্টাফ। বিমানের পরিবর্তে সমুদ্রযাত্রা নিয়ে বিসিবির সম্মতির সিদ্ধান্তে দলের মধ্যে দেখা গেছে অসন্তোষ।
তীরহারা ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দিয়ে ডমিনিকা পৌঁছানোর পথে আটলান্টিকের সৌন্দর্য যত না মুগ্ধ করেছে টাইগারদের, তার চেয়েও বেশি ছড়িয়েছে আতঙ্ক আর ভয়। দু’দিন আগেই সাইক্লোনের কারণে সমুদ্র ছিল বেশ উত্তাল। সেন্ট লুসিয়ার ক্যাস্ট্রিস ফেরি টার্মিনাল থেকে বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সকাল ৭টায় মার্টিনেকের উদ্দেশে রওনা দেয় পার্লে এক্সপ্রেসের ফেরি। দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা সমুদ্র পাড়ি দেয়ার অভিজ্ঞতা ছিল না কোনো টাইগার ক্রিকেটারের। মাঝসমুদ্রের উথাল-পাথাল ঢেউয়ে ভয় ও মোশন সিকনেসে আক্রান্ত হন দলের বেশিরভাগ সদস্য।
তবে যাত্রার শুরুটা ছিল খুবই স্বাভাবিক। ফেরি রওনা হওয়ার সাথে সাথে হৈ-হুল্লোরে মেতে উঠেন ক্রিকেটাররা। পেছনের ডেকে জড়ো হয়ে সমুদ্রের নীল জলরাশির সাথে চলে ফ্রেমবন্দি করা মূহূর্ত। তবে ডমিনিকার মার্টিনেক পৌঁছানোর আগেই পাল্টে গেল দৃশ্যপট। বড় ঢেউয়ের আঘাত ও অনবরত রোলিংয়ের কারণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ক্রিকেটাররা। শারীরিকভাবে অস্বস্তি দেখা দেয় নুরুল হাসান সোহান, শরীফুল ইসলাম ও নাফিস ইকবালের মাঝে।
কয়েকটি দ্বীপ ঘুরে প্রায় পাঁচ ঘণ্টার যাত্রা শেষে ডমিনিকায় পৌঁছায় পার্লে এক্সপ্রেস ফেরি। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে স্বাগতিক দেশ সফরের পরিকল্পনা করলেও তা চূড়ান্ত হয় সফরকারি দেশের সম্মতিতেই। তখন বিসিবির একটা সুযোগ ছিল বিমানপথে পুরো দলকে ডমিনিকা নেয়ার। এমন ভয়ঙ্কর সমুদ্রযাত্রায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। প্রশ্ন ওঠে, দলের প্রতি বিসিবির আন্তরিকতা ও নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েও। একদিনের বিশ্রামের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তবে যাত্রার ধকল ও আতঙ্ক কাটিয়ে প্রস্তুত হতে পারবে কিনা গোটা দল, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।