বিরোধীয় নাগরোনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে গতমাস থেকে তুমুল লড়াই চলছে। সম্প্রতি দুই দেশ মানবিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও উভয় দেশ পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ তুলেছে।
অস্বীকৃত নাগোরনো-কারাবাখ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার তাদের ৪৯ জন সামরিক বাহিনীর সদস্য হতাহত হয়েছে। অস্বীকৃত অঞ্চলটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে তুর্কি সংবাদমাধ্যম ইয়েনি শাফাক জানিয়েছে, ২৭ সেপ্টম্বর থেকে নতুন করে চলা সংঘাতে আর্মেনিয়ার হতাহতের সংখ্যা ৬০৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
২৭ সেপ্টেম্বর থেকে বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান নতুন করে যুদ্ধে জড়ায়। পরবর্তীতে ১০ অক্টোবর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে ম্যারথন আলোচনা হয়।
এতে উভয় পক্ষ মানবিক কারণে সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। এ যুদ্ধবিরতিতে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবন্দিসহ অন্যান্য বন্দি বিনিময় ও মৃতদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে উভয় দেশ সম্মত হয়। ১১ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধবিরতির কয়েক মিনিটের মধ্যেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান পরস্পরকে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘেনের জন্য অভিযুক্ত করে।
কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। তবে ওই অঞ্চলটি জাতিগত আর্মেনীয়রা ১৯৯০’র দশক থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে। ওই দশকেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে যুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়।