আগামী সপ্তাহ থেকে অনুশীলনে ফিরছেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারররা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেট পরিচালক অ্যাশলে গিলস।
বোলারদের কাউন্টির বিভিন্ন মাঠে কোচ, ফিজিও এবং কন্ডিশনিং কোচের উপস্থিতিতে অনুশীলন করানো হবে। এছাড়া অন্য খেলোয়াড়রা দুই সপ্তাহ পরে অনুশীলনে ফিরে আসবেন।
কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ এবং কাউন্টি থেকে প্রায় ৩০ জন খেলোয়াড়কে ১১টি ভেন্যুতে প্রশিক্ষণের জন্য আমন্ত্রণ করা হয়েছে। খেলোয়াড় এবং ভেন্যু সোমবার নিশ্চিত করা হবে। ইসিবি কয়েকন কাউন্টি কোচ এবং কর্মীও ব্যবহার করবে।
ইংল্যান্ডের নারী ক্রিকেটাররা জুনের শেষের দিকে প্রশিক্ষণে ফিরবেন। ইংল্যান্ডের ক্রিকেট পরিচালক অ্যাশলে গিলস আরও বলেছেন, এই প্রথম ধাপে ক্রিকেটারদের অনুশীলনে ডাকা হচ্ছে। আশা করছি তাদের নিরাপদ পরিবেশে অনুশীলন করানো হবে। প্রতিবার বাড়ির বাইরে গেলে ঝুঁকি থাকে, যতটা সম্ভব আমরা এই ভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তার রোধ করব।
বুধবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের চিফ এক্সিকিউটিভ জনি গ্রেভ বলেছিলেন যে করোনা এই সংক্রমণের মুহূর্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিছু খেলোয়াড় ইংল্যান্ড সফরে যাওয়ার ব্যাপারে খুবই নার্ভাস।
এ ব্যাপারে ইংল্যান্ডের ক্রিকেট পরিচালক অ্যাশলে গিলস বলেছেন, আমরা সবাই নার্ভাস, তাই না? আমি গত সপ্তাহে শপিংয়ে গিয়েছিলাম। বাইরে বেরোনোর সময় সত্যিই আমার অদ্ভুত অনুভূতি হয়েছে। মনের ভেতরে সংক্রমণের ভয় কাজ করেছে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সব প্রশ্নের জবাব দেয়ার জন্য আমরা যথাসম্ভব সবই করেছি।
প্রসঙ্গত, মহামারী করোনভাইরাসের কারণে মার্চ মাসে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের শ্রীলঙ্কা সফর বাতিল করা হয়। তবে জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলার কথা ছিল ইংল্যান্ডের।
কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে ১ জুলাই পর্যন্ত সব খেলা বন্ধ ঘোষণা করে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড। যে কারণে উইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ পিছিয়ে দেয়া হয়ছে। তবে জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ আয়োজন করতে চায় ইংল্যান্ড।