
বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতাকর্মীদের এলাকা ছাড়তে মাইকে ঘোষণা দিয়ে হুমকি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল ইসলাম।
আর এমন হুমকির ভিডিও মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এতে এলাকায় সমালোচনার ঝড় ওঠে।
গত ২২ জানুয়ারি দুপুরের দিকে পাকুন্দিয়া উপজেলার নারান্দি ইউনিয়নের শালঙ্কা গ্রামে উঠানবৈঠক করে মাইকে বক্তব্য দিতে গিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মুখে জয় বাংলা বলবেন, আর কাজ করবেন নৌকার বিরুদ্ধে, আমি লালু, ভুলু ও শাকিলকে বলে দিতে চাই— আগামীকালের পর এলাকায় থাইক্যেন না।’
এ ছাড়া প্রচারণায় বাধার পাশাপাশি স্বতন্ত্র আনারস প্রতীকের প্রার্থীর প্রচারণার মাইকের গাড়ির পোস্টারে প্রার্থীর মুখে নিজের নৌকা প্রতীকের স্টিকার লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ওই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
কর্মী-সমর্থক নেতাকর্মীদের এমন হুমকির ঘটনায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের পরিবেশ রক্ষার দাবি জানিয়েছেন আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মুছলেহ উদ্দিন।
আগামী ৩১ জানুয়ারি ষষ্ঠ ধাপে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদে প্রথমবারের মতো ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের কথা রয়েছে।
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মুছলেহ উদ্দিনের অভিযোগ, নির্বাচনে নিশ্চিত ভরাডুবি জেনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রাজনৈতিক প্রভাব এবং পেশিশক্তি ব্যবহারের এমন হীন তৎপরতায় লিপ্ত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শফিকুল ইসলামের সেলফোনে একাধিকবার কল দিয়েও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াৎ হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি দাবি করেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।