বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রকে ধ্বংস করতে আর্বিভুত হয়েছে। ঢাকায় একটা নির্বাচন হচ্ছে। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তাদের থিঙ্কট্যাংক প্রধান প্রফেসর আরাফাত। হিরো আলমও প্রার্থী হয়েছেন।
তিনি (হিরো আলম) আজ ভোট দিতে গিয়েছিলেন, কোনো কেন্দ্রে কোনো ভোটার নেই। কেন্দ্র ফাঁকা। তাঁকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেইনি শুধু; ভোট কেন্দ্রের বাইরে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মেরেছে। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কী করুন অবস্থা!
মির্জা ফখরুল বলেন, হিরো আলম কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি নন, তাকেও আওয়ামী লীগ সহ্য করতে পারে না। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে।
সোমবার (১৭ জুলাই) বিকেলে খুলনার সোনালী ব্যাংক চত্বরে তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী। বক্তব্য দেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, খুলনা নগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, জেলা আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান প্রমুখ।
সভা পরিচালনা করেন যুবদলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।
এর আগে সকালের দিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে সমাবেশে যোগ দেন নেতাকর্মীরা। বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলসহ অঙ্গ সংগঠেনের নেতারা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে সমাবেশে অংশ নেন।
শুরুতে মঞ্চে জাসাসের শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।
তবে দলটির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, সমাবেশ যাতে সফল না হয় সে জন্য বাধা দেওয়া হচ্ছে। ক্ষমতাসীনরা খুলনার পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলায় বাস বন্ধ করে দিয়েছে।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা রবিবার (১৬ জুলাই) কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলায় বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। সোমবারও বাস চলাচল বাধাগ্রস্ত করা হয়।
অপরদিকে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নগরীর শেরে বাংলা রোডের একাংশ, লোয়ার যশোর রোড, ফেরিঘাট, খানজাহান আলী রোড, ডাকবাংলো এলাকায় যান চলাচল বন্ধ ছিল।