
লক্ষ্মীপুরে এক আওয়ামী লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, তিনি ঋণে জড়িয়ে গলায় ফাঁস আত্মহত্যা করেছেন। তবে এলাকাবাসীর দাবি, মৃত্যুর মূল কারণ আড়াল করতে আত্মহত্যার কথা বলা হচ্ছে। এর পেছনে অন্য কারণ লুকিয়ে আছে।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে জেলার রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নের পূর্ব সাগরদী গ্রামের কাজী বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
তার নাম সানা উল্যাহ। তিনি উপজেলার বামনী ইউনিয়নের পূর্ব সাগরদী গ্রামের কাজী বাড়ির মৃত আবদুল হক কাজীর ছেলে। তিনি একই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
ছেলে হৃদয় জানান, তার বাবা বাড়ির পাশে চা দোকান করে সংসার চালাতেন। তিনি স্থানীয় চারটি এনজিও থেকে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন।এরপর থেকে বাবা ঠিকমতো ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারতেন না।
স্বজনদের দাবি, ঋণের টাকা পরিশোধ এবং অপমান সইতে না পেরে সানা উল্যাহ আত্মহত্যা করেছেন।
তবে তারা কোন এনজিও থেকে কতো টাকা ঋণ নিয়েছেন সে বিষয়ে সঠিক ধারণা দিতে পারেন নাই।
অপরদিকে স্থানীয়রা বলছেন, এ ঘটনার পেছনে অন্য কোনো রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা বেড়িয়ে আসবে। নিহতের স্বজনরা ঘটনা আড়াল করতে বিভিন্ন কথা বলে যাচ্ছেন।
রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ শিপন বড়ুয়া জানান, বাড়ির পুকুর পাড় থেকে সানা উল্যাহর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সোমবার বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত নিহতের স্বজনদের পক্ষ থেকে কোনো এনজিওর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় নাই। তবে পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। পরে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।