
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র একসঙ্গে চলে না। যারা গণতন্ত্র হত্যাকারী তাদের পক্ষে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ গত ১৪ বছর ধরে দুর্নীতি ও চাপাবাজি করে ক্ষমতায় টিকে আছে।’
বুধবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ সব রাজবন্দির মুক্তি দাবিতে’ সভার আয়োজন করে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)।
আয়োজক দল এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব ফরিদ উদ্দিনের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী, বাংলাদেশ মাইনরিটি পার্টির সুকৃতি মণ্ডল, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) খন্দকার লুৎফর রহমান, ন্যাপ ভাসানীর অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, এসএম শাহাদাত, ডেমোক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন মনি, বাংলাদেশ ন্যাপের শাওন সাদেকি প্রমুখ।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আজকে সরকার ভয় পেয়ে আমাদের কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। ইতোপূর্বে বিভাগীয় গণসমাবেশ নিয়ে তারা যা করেছে তা নজিরবিহীন। ঢাকার গণসমাবেশ নিয়ে অনেক টালবাহানা করেছে। নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে। এটা স্বাধীন বাংলাদেশে কল্পনাও করা যায় না। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ সিনিয়র সাড়ে চার শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু সরকার আমাদের গণসমাবেশে জনতার ঢল থামাতে পারেনি। এসব সমাবেশে জনগণ অংশগ্রহণ করে জানিয়ে দিয়েছে তারা আর আওয়ামী লীগের সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।’
গত ১৫ দিনে বিশেষ অভিযানের নামে সারা দেশে বিরোধী দলের ২৪ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘জনগণের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে। বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে ফেলেছে। এ থেকে উত্তরণে সরকার হটানোর কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘আজকে জনগণ এই সরকারের পদত্যাগ দাবিতে রাস্তায় নেমেছে। আওয়ামী লীগ উসকানি দিচ্ছে। পুলিশ দিয়ে বাধা দিচ্ছে। কিন্তু আমরা সংঘর্ষ-সংঘাতে বিশ্বাস করি না। দাবি আদায়ে সব রাজনৈতিক শক্তির সমন্বয় করে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছি।’
আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ। দেশে গণঅভ্যুত্থানের পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সুতরাং এই সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। পরিষ্কার কথা- এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না। গণমিছিলের কর্মসূচি দিয়েছি, সবাই শরিক হবেন।’