যশোর জেলা প্রতিনিধি: বেনাপোল পৌরসভার কাউন্সিলর ও সাবেক বন্দর শ্রমিকের সাধারন সম্পাদক রাশেদ আলী (৪৫) কে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৯ রাউন্ড গুলি ও ২টি ম্যাগজিনসহ গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শনিবার ভোরে ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশের একটি অভিযানিক দল।
যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রূপন কুমার সরকার জানান, গত ২৮ মার্চ অবৈধভাবে বেনাপোল বন্দর দখল করার সময় পৌর কাউন্সিলর রাশেদ আলীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অর্ধশতাধিক বোমা হামলা চালায় বন্দর এলাকায়। বোমা হামলায় আহত হন একজন পুলিশ সদস্যসহ ২০ জন শ্রমিক। এ ঘটনায় মোট তিনটি মামলা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে দুইটি মামলা করেছে। এছাড়া শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। ওই মামলার এজাহারভুক্ত ৩৬ জন। এর মধ্যে রাশেদ আলী ১ নম্বর আসামী। মামলার পরপরই গা ঢাকা দেয় রাশেদ আলী।
পুলিশ জানায়, কাউন্সিলর রাশেদ আলীর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারিকে মারপিট, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, হত্যা ও ছিনতাইসহ বেনাপোল পোর্ট থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। রাশেদ আলী বেনাপোল পোর্ট থানার দিঘীরপাড় গ্রামের মৃত আক্তার হোসেনের ছেলে। রাশেদকে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সে ডিবির কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ডিবি। রাশেদের সঙ্গীরা ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন ভূইয়া জানান, বেনাপোল স্থলবন্দরে বোমা হামলা মামলার প্রধান আসামীসহ এ পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের ফুটেজ দেখে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি কামাল হোসেন ভূইয়া।
অন্যদিকে শ্রমিকদের উপর অতর্কিত হামলা ও অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে বেনাপোল বন্দরে কর্মরত বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজিস্ট্রেশন নং-৮৯১ ও ৯২৫) শত শত শ্রমিক সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছে গত ৪দিন ধরে।