
সব সংকট কাটিয়ে অবশেষে খুলতে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। কর্মী পাঠানো নিয়ে রোববার দুদেশের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। তবে শ্রমবাজারটি টেকসই করতে অভিবাসন ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ জানিয়েছেন, এবার কোনো সিন্ডিকেট থাকবে না। সব খাতেই কর্মী নেবে মালয়েশিয়া। প্রায় সাড়ে ৩ বছর পর আবারও চালু হতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া শ্রমবাজার। জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির কয়েক দফা আলোচনার পর ঠিক হয়েছে নীতিমালা, অনুমোদন দিয়েছে দুদেশের মন্ত্রীসভাও। রোববারই এ বিষয়ে সমঝোতা চুক্তি হবে। সব রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য থাকছে সমান সুযোগ।
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালুর খবরে খুশি জনশক্তি রফতানিকারকরা। তবে নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে বলেও মনে করেন শ্রম অভিবাসন বিশ্লেষক হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। তিনি বলছেন, শ্রমবাজারটি টেকসই করতে অভিবাসন ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
অভিবাসন ব্যয় নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে তদারকি টিম গঠনেরও দাবি জনশক্তি রফতানিকারকদের। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী জানান, কর্মীর ব্যয় অনেকটাই বহন করবে মালয়েশিয়ার নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। কর্মী প্রতি খরচ কত হতে পারে তার ধারণাও নেওয়া হবে। এছাড়া কোনো এজেন্সিই নির্ধারিত সীমার বাইরে কর্মীর কাছ থেকে টাকা নিতে পারবে না।
প্লানটেশন, নির্মাণসহ বিভিন্ন সেবাখাতে কর্মী নেবে মালয়েশিয়া। সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমেই কর্মীর অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে জানান প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী।