নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে ইউক্রেন থেকে ছাড়লো শস্যবাহী জাহাজ। সোমবার (১ আগস্ট) ওডেসা বন্দর থেকে প্রায় ২৬ হাজার টন ভুট্টা নিয়ে লেবাননের উদ্দেশে ছেড়ে যায় জাহাজটি। তুরস্ক এবং জাতিসংঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বন্দরটিতে এখনও অপেক্ষমান আরও পণ্যবাহী ১৫টি জাহাজ। খবর এএফপির।
এমন মুহূর্তের জন্য অপেক্ষায় ছিল পুরো বিশ্ব। স্থানীয় সময় সোমবার সকালে ইউক্রেনের ওডেসা বন্দর ছাড়ে শস্যবাহী জাহাজ র্যাজোনি। কার্গো জাহাজটিতে রয়েছে ২৬ হাজার টন ভুট্টা। সিয়েরা লিওনের পতাকাবাহী জাহাজটির গন্তব্য লেবানন।
শস্যবাহী জাহাজ বন্দর ছাড়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে জাতিসংঘ, ইউক্রেন এবং তুর্কিয়ে কর্তৃপক্ষ। এর আগে চুক্তির শর্ত পূরণ এবং নিরাপত্তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল।
ইউক্রেনের অবকাঠামো বিষয়ক মন্ত্রী আলেক্সান্ডার কোবরাকোভ বলেন, মিত্র দেশগুলোর সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে চলা খাদ্য সংকট সমাধানে আরও একটি কার্যকর পদক্ষেপ নিলো ইউক্রেন। এর পাশাপাশি আবারও ওডেসা বন্দর চালুর মাধ্যমে আমাদের অর্থনীতিতে প্রায় ১শ’ কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ হলো।
তুর্কিয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আঙ্কারার তত্ত্বাবধানে জাহাজটি মঙ্গলবার পৌঁছবে ইস্তাম্বুল। সেখানে তল্লাশি এবং যাচাই বাছাইয়ের পর রওনা হবে জাহাজটি। এখনও ওডেসা বন্দরে অপেক্ষমান শস্যবাহী ১৫টি জাহাজ। ২৫ মিলিয়ন টন শস্য প্রথমেই পাঠানো হবে দুর্ভিক্ষপীড়িত আফ্রিকার দেশগুলোতে। পরে অন্যান্য দেশে রফতানি করা হবে।
গেল ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এতে বন্ধ হয়ে যায় ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে শস্য সরবরাহ। ফলে বিশ্বজুড়ে দেখা দেয় খাদ্য সংকট। সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে ২২ জুলাই তুরস্কের মধ্যস্থতায় সমঝোতা চুক্তিতে সই করে রাশিয়া ও ইউক্রেন। ঐতিহাসিক এ উদ্যোগের নেতৃত্ব দেয় জাতিসংঘ।