নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় অফিস সহায়িকাকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে এক স্কুলশিক্ষককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে তাকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজিব পাটোয়ারী পাড়া গ্রামের মৃত বাছান আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান। তিনি দক্ষিণ রাজীব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, হাবিবুর অফিস সহায়িকাকে বিয়ের প্রলোভনে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে। পরে স্বামী পরিত্যক্তা ভুক্তভোগী অফিস সহায়িকা বিয়ের জন্য চাপ দিলে নানা অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে হাবিবুর। শনিবার রাতে শিক্ষক হাবিবুর অফিস সহায়িকার বাড়িতে গিয়ে আবারও বিয়ের প্রলোভন দেখান। এ সময় হাবিবুর রহমানের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন ভুক্তভোগী। পরে শিক্ষক হাবিবুর আবারও ভুক্তভোগী অফিস সহায়িকাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় ভুক্তভোগীর চিৎকারে তার ছেলে ও এলাকাবাসী শিক্ষক হাবিবুরকে আটক করে পুলিশে সংবাদ দেয়।
এদিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাবিবুরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে একই দিন রাতেই ভুক্তভোগী অফিস সহায়িকা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব কুমার রায় জানান, রোববার দুপুরে হাবিবুরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগী নারীকে জেলা ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।