হত্যাকাণ্ডের দুই মাস পর বগুড়ার আদমদীঘিতে অটোভ্যান চালক হত্যায় জড়িত গামছা পার্টির তিন সদস্যসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে শনিবার (২৮ আগস্ট) তাদের গ্রেফতার করা হয়।
রোববার (২৯ আগস্ট) কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, ২৪ জুন সকালে আদমদীঘি উপজেলার নশরতপুর এলাকা থেকে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় নওগাঁর ভ্যানচালক শামীম আলমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে তার ব্যাটারিচালিত অটোভ্যানটিরও কোনো সন্ধান মিলছিল না।
তদন্তের এক পর্যায়ে শনিবার রানা নামের এক যুবককে নিহত শামীমের ব্যবহৃত মোবাইলফোনসহ গ্রেফতার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তিমাফিক একই এলাকার জনি ও মিঠুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে ঘটনার দিন নওগাঁ জেলার রানীননগর এলাকা থেকে আদমদীঘি যাবার কথা বলে শামীমের অটোভ্যানটি ভাড়া করে তারা। রাতে আদমদীঘি আসার পর নশরতপুর এলাকার একটি ফাঁকা সড়কে ভ্যান থামিয়ে তারা গলায় গামছা পেঁচিয়ে শামীমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এসময় অটোভ্যান ও তার মোবাইলফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে অটোভ্যানটি জয়পুরহাটের বাসিন্দা শাহীনের কাছে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়ে নিজেরা টাকা ভাগাভাগি করে নেয়। শনিবার এই তিন যুবকের পাশাপাশি শাহীনকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার জানান, গামছা পার্টি হিসেবে পরিচিত এমন ছিনতাইকারী চক্রের হাতে অটোভ্যান চালকরা প্রায়ই হত্যাকাণ্ড এবং ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে থাকেন। আটক তিনজনও গামছা পার্টির সদস্য। বাকি একজন তাদের কাছ থেকেই ছিনতাই করা ভ্যানটি ক্রয় করেছিল। শামীম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক ৪ জনকে রোববার বিকেলে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।