যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ব্রাজিলে ৪২ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর দেহে এবার প্রয়োগ করা হবে ভ্যাকসিনটি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাদের অংশীদার ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার মাধ্যমে এটি প্রয়োগ করবে।
বিভিন্ন দেশে করোনা প্রতিরোধী টিকা ও ওষুধ আবিষ্কারের প্রচেষ্টা চলছে। বিশেষজ্ঞরা আভাস দিয়েছেন, নিরাপদ ও কার্যকর রোগ প্রতিরোধী টিকা উদ্ভাবনে ১২-১৮ মাস সময় লাগতে পারে। এ পর্যন্ত মাত্র কয়েকটি টিকা পরীক্ষামূলকভাবে মানবদেহে প্রয়োগ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে এগিয়ে রয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের টিকাটি।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ জানিয়েছে, তৃতীয় ধাপে আগামী আগস্টে ভ্যাকসিনটির ট্রায়ালের অ্যাস্ট্রাজেনেকার অংশটি স্বেচ্ছাসেবীদের দেহে প্রয়োগ করা হবে। ভ্যাকসিনটির এ ট্রায়ালের অর্থায়ন ও পরিচালনার কাজটি করছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ। তৃতীয় ধাপের এ পরীক্ষায় প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবীর দেহে কোভিড-১৯-এর সম্ভাব্য এ ভ্যাকসিনটির একটি অথবা দুটি ডোজ প্রয়োগ করা হবে।
সিএনএন জানিয়েছে, ভ্যাকসিনটির তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যে ১০ হাজার মানুষের দেহে এটি প্রয়োগ করা হবে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর দেহে এটি প্রয়োগ করবে অংশীদার প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এদিকে ব্রাজিলেও দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবী নির্বাচন করা হয়েছে ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য।
গত ২ জুন নিজ দেশের দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবীর দেহে অক্সফোর্ডের তৈরি করোনার এ ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমোদন দেয় ব্রাজিল সরকার। স্বেচ্ছাসেবী নির্বাচন করার কাজও শেষ হয়েছে সেখানে। মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অংশ হিসেবে শিগগিরই তাদের দেহে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হবে।