করোনাভাইরাসের টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য নতুন করে আরও ১০ হাজার ২৬০ প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুকে যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি আস্ট্রাজেনেকা। শুক্রবার (২২ মে) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৫১ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত করোনার অনুমোদিত ওষুধ বা টিকা আবিষ্কার হয়নি। বিভিন্ন দেশে করোনা প্রতিরোধী টিকা ও ওষুধ আবিষ্কারের প্রচেষ্টা চলছে। এরমধ্যে মাত্র কয়েকটি টিকা পরীক্ষামূলকভাবে মানবদেহে প্রয়োগ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আভাস দিয়েছেন, নিরাপদ ও কার্যকর রোগ প্রতিরোধী টিকা উদ্ভাবনে ১২-১৮ মাস সময় লাগতে পারে।
গত ২৩ এপ্রিল মানব শরীরে করোনাভাইরাসের টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করে অক্সফোর্ড ও আস্ট্রাজেনেকা। সেসময় ১ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে এ টিকা প্রয়োগ করা হয়। তাদের বয়স ১৮ থেকে ৫৫ বছর। অক্সফোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এবার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ ধাপে ৫৬ বছর কিংবা তার বেশি বয়সীরা যেমন থাকবে, তেমনি ৫ থেকে ১২ বছর বয়সীরাও থাকবে।
এর আগে সম্ভাব্য এই টিকাটি চ্যাডওক্স এনকোভ-১৯ নামে পরিচিত ছিল। এখন এজেডডি১২২ বলে নামকরণ করা হয়েছে। টিকাটি উদ্ভাবন করেছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও লাইসেন্স পেয়েছে আস্ট্রাজেনেকা।