অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট আস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় ধাপ আবার শুরু হয়। যুক্তরাজ্যের মেডিসিন্স হেলথ রেগুলেটরি অথরিটি (এমএইচআরএ)-এর অনুমোদন পাওয়ার পর কয়েকদিন স্থগিতের পর পুনরায় এই পরীক্ষা শুরু হলো। শনিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এখবর জানিয়েছে।
করোনার সম্ভাব্য টিকাগুলোর মধ্যে প্রথমসারিতে রয়েছে অক্সফোর্ডের টিকা। পরীক্ষা চলাকালীন ব্রিটেনে এক নারী স্বেচ্ছাসেবক অজ্ঞাত রোগে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপরই সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করা হয় টিকার পরীক্ষা। মাঝপথে পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় করোনা প্রতিষেধক ঘিরে আশঙ্কা তৈরি হয়। তবে শেষপর্যন্ত ফের ট্রায়াল পর্ব শুরু হওয়ায় সেই আশঙ্কা আপাতত দূর হলো।
এক বিবৃতিতে অক্সফোর্ড জানিয়েছে, ৬ সেপ্টেম্বর নিরাপত্তা ইস্যুতে টিকার পরীক্ষা স্থগিত করার পর স্বতন্ত্র পর্যালোচনার পর যুক্তরাজ্যের টিকা নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেডিসিন্স হেলথ রেগুলেটরি অথরিটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পুনরায় শুরুর সুপারিশ করেছে।
অক্সফোর্ডের বিবৃতিতে অসুস্থ স্বেচ্ছাসেবকের অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার বৃহস্পতিবার অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, টিকা গ্রহণের পর জটিল স্নায়ুবিক সমস্যায় পড়েছিলেন ওই নারী স্বেচ্ছাসেবক। তবে ক্রমশঃ তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন।
ওষুধ নির্মাতা কোম্পানি আস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের কমিটি তাদের সিদ্ধান্তে এসেছে এবং টিকার পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার নিরাপদ বলে সুপারিশ করেছে।
খবরে বলা হয়েছে, টিকার পরীক্ষা সাময়িক স্থগিত করা সাধারণ ঘটনা। কিন্তু আস্ট্রা-অক্সফোর্ডের টিকা নিয়ে বিশ্ববাসীর আগ্রহের কারণে এই স্থগিত হওয়া আশঙ্কা তৈরি করে। এতে আশঙ্কা তৈরি হয় করোনা মহামারি ঠেকাতে দ্রুততম সময়ে করোনার টিকা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নিয়ে।
শনিবার অক্সফোর্ড ও আস্ট্রাজেনেকার পক্ষ থেকে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে তাতে যুক্তরাজ্যের বাইরে বিভিন্ন দেশে তাদের টিকার পরীক্ষা পুনরায় চালুর বিষয়ে কোনও কিছু উল্লেখ করা হয়নি।