
তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার সার্বিক দিক নির্দেশনায় ও কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুছ ছালেক এর নেতৃত্বে (১৬ এপ্রিল) দুপুরে কুলাউড়া উপজেলার ১৩নং কর্মধা ইউপির অন্তর্গত ০৯নং ওয়ার্ডের আমুলী পান পুঞ্জির আলাউদ্দিন গংদের জুমে পাহাড়ের নিচে খালি জায়গায় তিন রাস্তার মোড়ের পাশের ঝোপে প্রাপ্ত অজ্ঞাতনামা লাশ’কে এসআই পরিমল চন্দ্র দাশ, এসআই আনোয়ার মিয়া সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে সনাক্ত করতে সক্ষম হন।
সনাক্তের পরে জানা যায়, মৃত ব্যক্তি উপজেলার নুনা টিলাবাড়ির বাসিন্দা মৃত হায়দর আলীর ছেলে নাম মোঃ উসমান আলী (৫৩)। পরবর্তীতে উপস্থিত লোকজনের সম্মূখে এসআই আনোয়ার মিয়া ভিকটিম মোঃ উসমান আলীর লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত কালে দেখা যায় যে, উসমান আলীর মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন, দুই হাতের আঙ্গুলে কাটা দাগ, শরীরের বিভিন্ন স্থানে থেথলানো জখম আছে। মৃতের পরিবার সূত্রের বরাতে জানা যায় গত (১৬ এপ্রিল) রাত ১২টার পর হইতে মৃত মোঃ উসমান আলীকে তার পরিবারের লোকজন খুঁজে পাচ্ছিলেন না। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হয় যে মৃতের মাথার পিছনে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে হত্যা করা হয়েছে। পরবর্তীতে উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে মৃতের স্ত্রী মোছাঃ রাজিয়া বেগম (৫১) বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় এজাহার দায়ের করলে উক্ত এজাহারের ভিত্তিতে একটি হত্যা মামলা রেকর্ড ভুক্ত করা হয়। যাহা কুলাউড়া থানার মামলা নং-১৯, ১৭ এপ্রিল ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড। মামলা দায়ের হওয়ার পর মামলার দায়িত্ব ভার হিসেবে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আনোয়ার মিয়া সঙ্গীয় ফোর্সসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার রাঙ্গিছড়া চা বাগান এলাকা থেকে হত্যাকান্ডের সহিত জড়িত অন্যতম রাঙ্গিছড়া চা বাগানের বাসিন্দা পাপরু অলমিকের ছেলে রুমন অলমিক (৩২) কে গ্রেপ্তার করেন। আসামীকে অদ্য সোমবার (১৭ এপ্রিল) মৌলভীবাজার বিজ্ঞ আদালেতে প্রেরণ করে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও আসামি মামলার ঘটনার জরিত থাকা সহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে।
এ বিষয়ে জানতে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুছ ছালেককে মুঠোফোনে রাতে যোগাযোগ করলে তিনি এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত আছে। আটককৃত আসামির তথ্যনুসারে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।