উত্তরে তিস্তা, ধরলা আর ব্রহ্মপুত্রের পানি কিছুটা কমলেও এখনও বিপৎসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাই সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আগের মতোই। কুড়িগ্রামের রৌমারী আর রাজীবপুর উপজেলার প্রায় পুরোটাই বন্যার জলে তলিয়ে। পানিবন্দি জেলার প্রায় ৩ লাখ মানুষ। তবে, উন্নতি হয়েছে লালমনিরহাটের পরিস্থিতি। গাইবান্ধা আর বগুড়াতেও লাখো মানুষ হয়ে পড়েছেন পানিবন্দি। দুর্গত এলাকায় তীব্র খাবার সংকট দেখা দিলেও ত্রাণ কার্যক্রম খুব একটা জোরালো নয়।
মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে দিন দিন। জামালপুরের ৭ উপজেলার প্রায় ৫১ ইউনিয়নই বন্যা কবলিত। সরকারি হিসেবে, সবমিলিয়ে এই দুর্যোগের সাথে লড়ছে প্রায় সাড়ে আট লাখ মানুষ। পর পর দু’দফা বন্যায় বেশিরভাগ এলাকাতেই দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। বিশেষ করে গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেকে।
বানের পানিতে মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুরেরও বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে গেছে এরইমধ্যে। পানি ঢুকে গেছে ঢাকার আশপাশের এলাকাতেও।
সিলেটে অবশ্য বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে কানাইঘাট, কোম্পানিগঞ্জ, গোয়াইনঘাট এলাকার নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকা পানিতে তলিয়ে আছে।
উৎসঃ যমুনা টেলিভিশন