জঙ্গি অর্থায়ন ও দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টে ১১৬ ধর্মীয় বক্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন—দুদক অনুসন্ধান শুরু করেছে বলে যে খবর এসেছে তা বিভ্রান্তিকর বলছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় দুদক প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, ‘ওই আলেমদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্রটি পরীক্ষা করতে একটি কমিটি করা হলেও অনুসন্ধানের জন্য কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি কমিশন।’
জঙ্গি অর্থায়ন ও দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অভিযোগ এনে ১১৬ ওয়ায়েজিনের (ধর্মীয় বক্তা) আর্থিক অনিয়ম খতিয়ে দেখতে দুদকে শ্বেতপত্র দিয়েছিল ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমন্বয়ে গঠিত ‘গণকমিশন’।
দুদক সচিব বলেন, ‘১১৬ জন ধর্মীয় বক্তা/আলেমের আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন হতে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে কিছু কিছু গণমাধ্যমে আসা খবরে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।’
‘ওই শ্বেতপত্রটি পরীক্ষা করে সংক্ষিপ্তসার কমিশনে উপস্থাপন করার জন্য দুদক থেকে একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেটি পরীক্ষা করে কমিশনের কাছে উপস্থাপন করাই এই কমিটির দায়িত্ব।’
কমিশন সচিব বলেন, ‘আলেমগণের আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি অনুসন্ধানের কোনো দায়িত্ব ওই কমিটিকে দেওয়া হয়নি। এমনকি কমিশন হতে কোনো অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তও গ্রহণ করা হয়নি।’
উল্লেখ্য, গত ১১ মে দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লার হাতে মাওলানা মামুনুল হকসহ ১১৬ সন্দেহভাজন ধর্মীয় বক্তার তালিকাসহ ২২১৫ পাতার একটি শ্বেতপত্র তুলে দেন গণকমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সদস্য সচিব ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজসহ পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
সেসময় গণকমিশনের দেওয়া ১১৬ জনের তালিকা প্রকাশের প্রতিক্রিয়ায় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইদ্রিস ঢাকাটাইমসকে বলেন, যিনি এই তালিকা প্রকাশ করেছেন তিনি নিজেই প্রশ্নবিদ্ধ। কিন্তু আমরা তাকে বিব্রত করি না। এগুলো করলে দেশে অশান্তি হবে, শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট হবে। এরা যারা উস্কানীমূলক কর্মকাণ্ড করছে, সরকার যেন তাদের শক্ত হাতে প্রতিকার করে।