প্রথম দিনের রিমান্ডের পর অসুস্থতার কথা বলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে তার শারীরিক কোনও সমস্যা না পাওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে ছেড়ে দেন। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবার দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নিয়ে তার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা শেষে তাকে মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে দুদক কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
সাত দিনের রিমান্ডে পেয়ে সোমবার বেলা ১১টার দিকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সাহেদকে দুদক কার্যালয়ে আনা হয়। এরপর দুদকের উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে একটি দল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, প্রথম দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সন্ধ্যায় তাকে রমনা থানার হাজতখানায় রাখা হয়েছিল। কিন্তু রাতে অসুস্থ বোধ করার কথা বললে সাহেদকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তার কোনো কোনো জটিলতা দেখা যায়নি বলে জানান দুদকের এই কর্মকর্তা।
ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাহেদকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পদ্মা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী, বকশীগঞ্জ জুট স্পিনার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাশেদুল হক চিশতি, রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ইব্রাহিম খলিল।