পবিত্র হজ পালন নির্বিঘ্ন করতে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হলো যৌথ বাহিনীর নজরকাড়া মহড়া। এতে অংশ নেন সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীর সদস্যরা। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরাও ছিলেন এই মহড়ায়। নিরাপত্তা প্রস্তুতি দেখতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন সৌদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও। চলতি বছর, পবিত্র হজ পালন করবেন বিশ্বের ১৬০ দেশের ২৬ লাখের মতো মুসল্লি। করোনা মহামারির পর এবারই সর্বোচ্চ মানুষ পাচ্ছেন এই সুযোগ। খবর আরব নিউজের।
মূলত, আকস্মিক জঙ্গি হামলা, জিম্মি পরিস্থিতি বা দুর্ঘটনা কীভাবে সামাল দেয়া হবে তারই প্রস্তুতি ছিল এই আয়োজন। এছাড়া, অগ্নিকাণ্ড রোধ এবং ভিভিআইপিদের নিরাপত্তার বিষয়েও চলে মহড়া।
এ বিষয়ে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী ড. তৌফিক বিন ফাওজান আল রাবিয়াহ্ বলেন, আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপর বিশ্বের ১৬০ দেশ থেকে সৌদি আরবে আসা অন্তত ২০ লাখ মুসল্লির কণ্ঠে উচ্চারিত হবে ‘লাব্বায়েক আল্লাহ হুম্মা লাব্বায়েক’ ধ্বনি। আল্লাহ’র মেহমানদের সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিতে আমরা প্রস্তুত। এরইমধ্যে নিরাপত্তা ও সেনাবাহিনী অংশ নিয়েছে যৌথ মহড়ায়। তাদের প্রস্তুতিতে স্পষ্ট, শান্তিপূর্ণভাবে হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে সৌদি সরকার বদ্ধ পরিকর।
করোনা মহামারির বিধিনিষেধ তুলে দেয়ার পর এবারই হচ্ছে স্বাভাবিক হজ অনুষ্ঠান। যাতে অংশ নিতে পারবেন ২৬ লাখের মতো মুসল্লি। অবশ্য সুরক্ষায় তাদেরও থাকতে হবে সতর্ক, কিছু শর্ত-নীতিমালাও পালন করতে হবে।
আগামী ২৬ থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত পালিত হবে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা। এবারও আরাফাতের ময়দানে বাংলাসহ খুৎবা অনূদিত হবে ১৪টি ভাষায়।