লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে অশ্লীল ছবি তুলে যৌতুক দাবি ও নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রীর মামলায় ইউপি সদস্য সুমন মিঝিকে (৩৪) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় মোল্লারহাট বাজার থেকে গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার সকালে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার সুমন মিঝি দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) ও একই এলাকার শাহ আলম মিঝির ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ইউপি সদস্য নেশাগ্রস্ত-সুমন অন্য নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত। এসবের প্রতিবাদ করলে সুমন তার স্ত্রী শাহানা আক্তার মিকার ওপর নির্যাতন করতো। এসব নির্যাতন থেকে বাঁচতে একপর্যায়ে গত বছরের ২৩ নভেম্বর সুমনকে তালাক দেয়ার পর সে মাফ চাওয়ায় ও শিশু সন্তানের কথা চিন্তা করে ২৩ ডিসেম্বর তা প্রত্যাহার করে নেয় বামনী ইউপির সাইচা গ্রামের সফিকুল ইসলামের মেয়ে মিকা।
কিন্তু এসব ভুলে গিয়ে সুমন আবার নির্যাতন ও অশ্লীল ছবি তুলে তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। মিকা অপারগতা প্রকাশ করলে সুমন তার পরিবারের সদস্যদের দিয়ে শারীরিক নির্যাতন করায়। অশ্লীল ছবি তুলে যৌতুক দাবি ও মারধর করার ঘটনায় ৯ জুলাই গৃহবধূ মিকা বাদী হয়ে সুমনসহ তার মা, বোন ও ভাইকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
রায়পুর থানার এসআই শামসুল আরেফিন জানান, স্ত্রীকে নির্যাতন ও যৌতুকের মামলায় ইউপি সদস্য সুমন মিঝিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এ ঘটনায় দক্ষিণ চরবংশী ইউপি সদস্য সুমনের পরিবার জানায়, মিকার মামলা সাজানো। তাকে নির্যাতন বা যৌতুক চাওয়া হয়নি। আমাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।