স্ত্রীকে হত্যা করে বাড়ির উঠানে লাশ পুঁতে রেখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন স্বামী। অজ্ঞাত স্থান থেকে আবার ভিডিও কলে স্ত্রীর লাশ পুঁতে রাখার স্থান পুলিশকে দেখিয়ে দেন ওই অভিযুক্ত। হত্যাকাণ্ডের পাঁচদিন পর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রাজধানীর দক্ষিণখানে ঘটেছে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা। এ ঘটনায় নারীসহ আশরাফুলের পরিবারের চারজনকে আটক করা হয়েছে।
স্বজনরা জানান, নিহত আফরোজা বেগম নামের ওই নারী মাস তিনেক আগে স্বামী আশরাফুল আলমের সঙ্গে কানাডা থেকে দেশে আসেন। দু’জনই কানাডার নাগরিক বলে দাবি করেন স্বজনরা।
আফরোজার স্বজনরা জানান, কয়েক মাস আগে কানাডায় বিয়ে হয় দু’জনের। এরপর সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল। মার্চের শেষের দিকে দেশে আসেন তারা। পারিবারিক কোনো কলহের খবর জানা নেই স্বজনদের। কিন্তু হঠাৎ করে শুক্রবার থেকে আফরোজার কোন খোঁজ না পাওয়ায় সোমবার দক্ষিণখান থানায় জিডি করেন তার পরিবার।
জিডির সূত্র ধরে আফরোজার লাশের খোঁজ পায় পুলিশ। কৌশলে স্বামীর কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডের তথ্য আদায় করে লাশের স্থানটিও চিহ্নিত করা হয়। কর্মকর্তাদের ধারণা, পারিবারিক দ্বন্দ্বে কুপিয়ে হত্যা করা হয় আফরোজাকে।
পুলিশ ও স্বজনদের ধারণা, হত্যাকাণ্ডের দু’দিন পরই কানাডায় পাড়ি জমায় স্বামী আশরাফুল। তবে, ঠিক কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড তা এখনো স্পষ্ট নয় কারো কাছে। ধারণা করা হয়, কোটি টাকার কাবিন নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে।