
সৌদি আরবগামী প্রবাসী শ্রমিকদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের হোটেল বুকিং খরচ বাবদ ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া, বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন এড়াতে সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে যাওয়ার আগেই শ্রমিকদের করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন দ্য ডেইলি স্টার’র সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার এক পর্যায়ে এসব তথ্য জানিয়ছেন।
তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবে যাওয়ার পরে সাত দিন বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে কোনো প্রবাসী শ্রমিকের যদি হোটেল বুকিং খরচ হয় ৪০ হাজার টাকা, তাহলে মন্ত্রণালয় ২০ হাজার টাকা দেবে। ৫০ থেকে ৬০ হাজার বা তার ঊর্ধ্বে খরচ হলে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে। সৌদিতে ভ্রমণে ২০ মে নতুন নির্দেশনা কার্যকর হয়েছে। নতুন নির্দেশনা আসার পরে যারা সৌদিতে গিয়েছেন, তাদেরও এই সহায়তা দেওয়া হবে। দূতাবাসের মাধ্যমে তাদের হোটেল বুকিং সংক্রান্ত কাজগপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে।’
সৌদি আরবে ভ্রমণে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যারা সৌদি আরবে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন না এবং প্রথমবারের মতো সৌদি আরবে বেড়াতে গেছেন, তারা যদি করোনা ভ্যাকসিনের সবগুলো ডোজ নেওয়ার ১৪ দিন পরে যান— সে ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টিনের প্রয়োজন হবে না।
মুনিরুছ সালেহীন আরও বলেন, ‘প্রত্যেক প্রবাসী শ্রমিককে করোনার টিকার দেওয়ার এই বিরাট কাজটি কীভাবে সহজে করা যেতে পারে আমরা সেই পরিকল্পনা করছি। আমরা সবাইকে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) কার্যালয়ে করোনার টিকার জন্য আবেদন করতে বলেছি। যারা শুধু মাত্র বিএমইটি-তে আবেদন করবেন, তারা টিকা পাওয়া যোগ্য বিবেচিত হবেন।’
আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিক সৌদি আরবে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, সৌদি আরবে যাওয়ার পরে একজন প্রবাসী শ্রমিকের হোটেল বুকিং করতে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা খরচ হবে।
উৎসঃ ডেইলি স্টার