রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশ শুরু হয়েছে।
গুগল নিউজে ফলো করুন আরটিভি অনলাইন
শনিবার (২২ জুলাই) দুপুর ২টার পর কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু করা হয়।
সমাবেশস্থলে উপস্থিত আছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
এর আগে, এদিন সকাল থেকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসতে থাকেন। সমাবেশ শুরুর আগেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান লোকারণ্য হয়ে যায়। ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে সোহরাওয়ার্দীর চারপাশ। সমাবেশস্থল থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি, সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিকে, একইদিনে দুপুর আড়াইটায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যৌথভাবে শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ। আন্দোলনের নামে বিএনপি যাতে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালাতে না পারে, সেজন্য জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই ক্ষমতাসীনদের এই কর্মসূচি।
দেশের প্রধান দুই দলের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য সতর্ক অবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, একই দিনে বড় দুই দলের কর্মসূচি থাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগের লোকজন সিভিলে ডিউটি করবে। তারা বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবে।
তিনি বলেন, কর্মসূচিতে যদি কেউ নাশকতার চেষ্টা করলে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, নতুন ভোটার আর তরুণদের কাছে টানতে জুন মাসের প্রথমদিকে বিএনপি ‘তারুণ্য সমাবেশে’র ঘোষণা দেয়। দলটির অঙ্গসংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সমন্বয়ে এই সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে দলটির নীতি নির্ধারণী ফোরাম। ঘোষণা অনুযায়ী ১৪ জুন চট্টগ্রাম, ১৯ জুন বগুড়া, ২৪ জুন বরিশাল, ৯ জুলাই সিলেট ও ১৭ জুলাই খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশ করেছে দলটি। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজকের সমাবেশের মাধ্যমে তারুণ্যের সমাবেশ শেষ হবে। সমাবেশ থেকে বিএনপির নতুন কর্মসূচি আসবে বলে জানা গেছে।