নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনার মূলহোতা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন এক বছরের জামিন পেয়েছেন হাইকোর্ট থেকে। গত সোমবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে এক বছরের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয়।
এ ঘটনায় রুহুলকে জামিন দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায়। তিনি জানান, আগামী ২৫ মার্চ চেম্বার আদালেত তার শুনানি হতে পারে।
রুহুলকে কিভাবে জামিন দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে বিশ্বজিৎ বলেন, ‘আমরা আসলে বুঝতেই পারিনি, কার জামিন হয়েছে! এছাড়া আবেদনকারীর আইনজীবী আদালতে বলেছেন, মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে (এফআইআর) রুহুল আমিনের নাম নাই। তিনি বলেন, মামলাটি এখনও তদন্তাধীন। এসব বিষয় তুলে ধরে জামিন চাওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, আসামির আইনজীবী রাষ্ট্রপক্ষকে বিভ্রান্ত করেছেন। জামিন আবেদনে উল্লেখ আছে এনএক্স-১৭ নম্বর কোর্টের কথা। অর্থাৎ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে আবেদনটি শুনানির জন্য ফাইল হয়েছে। ফলে আবেদনটির অনুলিপি গেছে ওই কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের দফতরে। আদালতে রুহুল আমিনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. আশেক-ই-রসুল।
উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরের মধ্যবাগ্যা গ্রামে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে চল্লিশোর্ধ এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।
ওই নারীর অভিযোগ ছিলো, ভোটের সময় নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এরপর রাতে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনের সাঙ্গপাঙ্গরা বাড়িতে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। চরজব্বর থানায় ওই নারীর স্বামীর করা মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘আসামিরা তার বসতঘরে ভাংচুর করে, ঘরে ঢুকে বাদীকে পিটিয়ে আহত করে এবং সন্তানসহ তাকে বেঁধে রেখে দলবেঁধে ধর্ষণ করে তার স্ত্রীকে।’
ধর্ষণের শিকার ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে চরজুবলী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।