ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন দক্ষ ও সুনাগরিক তৈরিতে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম অপরিসীম ভূমিকা রাখছে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ থেকে অনলাইন প্ল্যাট ফরমে ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম’ শীর্ষক ‘জাতীয় সম্মেলন-২০২১’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দফতর ও সংস্থাগুলো ধর্মীয় মূল্যবোধসম্পন্ন অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণের মহান লক্ষ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতা বিকাশের মাধ্যমে উদার ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সর্বজনীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।’
ফরিদুল হক খান বলেন, ‘ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মদার্যাপূর্ণ এ প্রকল্পটি সারাদেশের ৬ হাজার ৪শ’ ৫০টি মন্দির অবকাঠামো ব্যবহার করে ৫ হাজার ৮০০টি প্রাক-প্রাথমিক, ৪০০টি গীতা শিক্ষা ও ২৫০টি বয়স্ক স্তরের শিক্ষাকেন্দ্র পরিচালনা করছে। এসব শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিবছর এক লাখ ৯২ হাজার ২৫০ জন শিক্ষার্থীকে নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধসমৃদ্ধ উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদান করছে, যা হিন্দু জনগোষ্ঠীর মাঝে আশাব্যঞ্জক সাড়া জাগিয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি উদার, ধর্মনিরপেক্ষ, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও সম্প্রীতির উন্নত দেশ প্রতিষ্ঠার বাস্তবরূপ দিতে তিনিই প্রথম তার ১৯৯৬-২০০১ শাসনামলে এ প্রকল্প গ্রহণ করেছিলেন।’
মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম পঞ্চম ধাপ শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) রঞ্জিত কুমার দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন— হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নূরুল ইসলাম, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস-চেয়ারম্যান সুব্রত পাল, ট্রাস্টি ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, শ্যামল সরকার, ট্রাস্টি রেখা রাণী গুণ, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. আব্দুল আওয়াল হাওলাদার ডা. দিলীপ কুমার ঘোষ প্রমুখ।