আবুল কাশেম রুমন, সিলেট: সিলেট- চট্টগ্রাম- সিলেট রুটে ফ্লাইট শুরু করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। আগামী ১৭ মার্চ বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে পুণ্যভূমি সিলেটে উদ্বোধনী ফ্লাইটটি যাত্রা করবে। এই রুটে সপ্তাহে দুই দিন ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন জনসংযোগ কর্মকর্তা উপ-মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার।
তাহেরা খন্দকার জানান, চট্টগ্রাম-সিলেট-চট্টগ্রাম রুটের টিকেট বিমানের মোবাইল অ্যাপস, ওয়েবসাইট, ট্রাভেল এজেন্ট, ট্যুর অপারেটর, বিমান কল সেন্টার এবং সেলস কাউন্টার থেকে ক্রয় করা যাবে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য যাত্রীদের ফোন নম্বর ০১৯৯০-৯৯৭৯৯৭ (বিমান কল সেন্টার) এ যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে।
তাহেরা খন্দকার বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যাত্রী সাধারণের উন্নত সেবা দিতে বদ্ধপরিকর। আশা করা যাচ্ছে, এর ফলে দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশ সিলেট ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামের মধ্যে পর্যটনের দ্রুত বিকাশ ও বাণিজ্যিক উন্নয়নের বন্ধন তৈরি হবে।
এ প্রসঙ্গে সিলেট চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও এফবিসিসিআইর বর্তমান পরিচালক সিলেটের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী খন্দকার সিপার আহমদ বলেন, সিলেট-চট্টগ্রাম সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়টি সিলেট ও চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। তিনি চেম্বারের সভাপতি থাকাকালে ২০১৮ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির যৌথ সভায়ও এ দাবি উত্থাপিত হয়।
সভায় বলা হয়, সিলেট এবং চট্টগ্রামের মধ্যে ভৌগোলিক, সামাজিক ও ব্যবসায়িক যে সম্পর্ক রয়েছে, তা কাজে লাগিয়ে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করলে সবক্ষেত্রে সাফল্যের দ্বার আরও উন্মোচিত হবে।
খন্দকার সিপার আহমদ সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্লাইট চালু হওয়ায় বিমান কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে আমদানি রপ্তানিসহ ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারে সরাসরি ফ্লাইট বিরাট ভূমিকা রাখবে। সেই সাথে চট্টগ্রাম ও সিলেটের ব্যবসায়ীদের সাথে সেতুবন্ধন রচিত হবে।
তিনি সিলেট চেম্বারের পক্ষ থেকে সিলেট-কক্সবাজার ও সিলেট-ঢাকা রুটে রাত্রীকালীন ফ্লাইট চালুর বিষয়ে জোর দাবির বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, নতুন এ রুট চালুর মধ্য দিয়ে আমাদের প্রতিটি দাবিই পরিপূর্ণতা পেল।
তিনি সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে সরাসরি বিমানের ফ্লাইট চালু করার উদ্যোগ নেওয়ায় সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।