সিলেটে প্রেমিক আব্দুল হাকিমের প্রতারণায় ‘গ্যাং’ র্যাপের শিকার হলেন এক তরুণী। প্রেমিকাকে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে প্রেমিক সহ চার যুবক জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। পরে ওই তরুণীর আর্তচিৎকারে এলাকার মানুষ গিয়ে ঘেরাও করে ওই তরুণীকে উদ্ধার ও প্রেমিক সহ চার যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার গণ্ডামারা গ্রামে বর্বরোচিত এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের তুরুকভাগ গ্রামের লিলু মিয়ার ছেলে আব্দুল হাকিমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই তরুণীর। দীর্ঘ দিন ধরে তারা একে অপরকে ভালোবাসতো। গত শনিবার দুপুরে প্রেমিক আব্দুল হাকিম তরুণীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে শহরতলীর মুরাদপুর পয়েন্টে আসার জন্য বলে। আব্দুল হাকিমের কথা মতো দুপুরের পর ওই তরুণী মুরাদপুর বাজারে আসেন।
এ সময় মুরাদপুর বাজার থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশাযোগে তরুণীকে নিয়ে গোলাপগঞ্জের গণ্ডামারা গ্রামের নির্জন টিলার পাশের একটি জঙ্গলে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় আব্দুল হাকিম তার অপর তিন বন্ধুকেও মোবাইল ফোনে ওই এলাকায় ডেকে আনে। এক পর্যায়ে আব্দুল হাকিম সহ ওই চার বন্ধু জঙ্গলের মধ্যে ওই তরুণীকে মুখে কাপড় বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ওই তরুণী চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে যান। তারা গিয়ে ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই তরুণীকে উদ্ধার ও চার যুবককে আটক করে। পরে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে- উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের তুরুকভাগ গ্রামের লিলু মিয়ার ছেলে আব্দুল হাকিম, দক্ষিণ কান্দিগাঁও গ্রামের মঈন উদ্দিনের ছেলে রাজন আহমদ, খালপাড় গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে শিপন আহমদ ও শাহপরান উপজেলার পীরের চক গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে আক্তার হোসেন। সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও মিডিয়া) মো. লুৎফর রহমান জানিয়েছেন, জঙ্গলের ভেতর একটি মেয়ের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা বাঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে খবর দেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় খবর দিলে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে। গোলাপগঞ্জ থানার হারুনুর রশীদ চৌধুরী জানিয়েছেন, চার যুবকের বিরুদ্ধে ওই তরুণী মামলা দায়ের করেছেন। ওই তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।