সিলেটস্থ জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক এ কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক আব্দুল হালিম এবং আইসিটি বিভাগের প্রভাষক মুজাহিদুল ইসলাম কে টুপি পাঞ্জাবি পরায় চাকরীচ্যুত করা হয়েছে।
গত নভেম্বর মাসে কলেজের নির্ধারিত সভায় তৎকালীন অধ্যক্ষ কর্নেল সোহেল উদ্দিন পাঠান সকল শিক্ষক কে উদ্দেশ্য করে বলেন, স্কুল এবং কলেজ শাখার শিক্ষকদের সাদা শার্ট কালো প্যান্ট পরিধান করে ক্যাম্পাসে আসতে হবে। এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি প্রভাষক আব্দুল হালিম ও প্রভাষক মুজাহিদ। উভয়েই সুন্নাতি পোষাকে ক্যাম্পাসে আসার দাবি জানান।
এর পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ সোহেল উদ্দিন তাদের পোষাক পরিবর্তনের জন্য কয়েক দফা চিঠি দেন এবং পোষাকের ব্যাপারে শর্ত জুড়ে দেন। টুপি পাঞ্জাবি ছেড়ে শার্ট প্যান্ট না পরলে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দেয়ারও হুমকি দেন অধ্যক্ষ কর্নেল সোহেল উদ্দিন।
গতকাল বৃহস্পতিবারে অধ্যক্ষের বেধে দেয়া সেই শর্ত অমান্য করায় সুন্নাতি পোষাক অনুসরণকারী দুইজন প্রভাষককে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে সদ্য অব্যহতি প্রাপ্ত প্রভাষক আব্দুল হালিম কে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, “নবীর সুন্নাহকে ধারন করার লক্ষ্যেই দীর্ঘ ১২ বছর ধরে নিয়মিত সাদা পাঞ্জাবি পায়জামা পড়ে কলেজে আসতাম। আমার সকল সহকর্মীর সাদা শার্টের সাথে মিল রেখে ইউনিফর্ম কে যথাযথ সম্মান করে সাদা পাঞ্জাবি পড়তাম। তাছাড়া, শিক্ষক নিয়োগের সময় পাঞ্জাবি পড়ার শর্তেই আমি এই প্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলাম।”
করোনার এই দু:সময়ে উদ্ভট কারনের পরিপ্রেক্ষিতে কলেজের দুইজন প্রভাষক কে অব্যাহতির খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে ছাত্র-ছাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে কলেজের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দার ঝড় ওঠে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশর সব ক্যান্টনমেন্ট কলেজগুলোতেই ধর্মীয় রীতির পোষাকে আগ্রহী শিক্ষকদের তাদের পোষাকের ব্যাপারে সবসময়ই ছাড় দেয়া হয়ে আসছে।