সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌর শহরের ঝিকিড়া মহল্লায় পাট বন্দরে আগুন লেগে ৬টি গুদাম পুড়ে গেছে। এতে এসব গুদামে থাকা প্রায় ১৫ হাজার মণ পাট ও ৬০ হাজার পাটের বস্তা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
সোমবার (৭ নভেম্বর) গভীর রাতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। এই অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে ব্যবসায়ী ও গুদাম মালিকেরা।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সিরাজগঞ্জ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, তাড়াশ ও পাবনা ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়।
মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনও ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছেন। তবে অগ্নিকাণ্ডের কোনো কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। পাট ব্যবসায়ী আসাদুল ইসলামের পাট গুদাম থেকে রাত ২টা ৩৫ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত গুদাম মালিক ও পাট ব্যবসায়ীদের মধ্যে রয়েছেন আসাদুল ইসলাম, সোহেল, রজব আলী সরকার, ডাবলু, আইয়ুব আলী, ইউনুস আলী, বাসুদেব সাহা, রিপন সাহা, সঞ্জয় সাহা, রাশেদা খানম পাতা, তারাপদ কুন্ডু ও শহিদুল ইসলাম।
ক্ষতিগ্রস্ত পাট ব্যবসায়ী আইয়ুব আলী জানান, তারা বিভিন্ন হাট থেকে পাট কিনে দেশের বিভিন্ন পাট মিলে বিক্রি করে থাকেন। এখন পর্যন্ত মিলগুলো পাট ক্রয় শুরু না করায় ব্যবসায়ীরা তাদের গুদামে মজুদ করেছিলেন। কিন্তু অগ্নিকাণ্ডের ফলে পাট পুড়ে গিয়ে তারা একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। এই ক্ষতি কোনোভাবেই পূরণ করা সম্ভব নয়।
ক্ষতিগ্রস্ত পাট ব্যবসায়ী বাসুদেব সাহা জানান, তাদের নিজস্ব গুদামে নিজেদের প্রায় ৬ হাজার মণ পাট ছিল। কোনোভাবেই এসব পাট তারা রক্ষা করতে পারেননি।
উল্লাপাড়া পাটবন্দর বনিক সমিতির সভাপতি আমিরুল ইসলাম আরজু জানান, অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত পাট ব্যবসায়ী ও গুদাম মালিকদের প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে তারা একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেলে।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. উজ্জল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে এই মুহূর্তে তারা কিছুই বলতে পারবেন না। তবে এ ব্যাপারে দ্রুত তদন্তের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এদিকে উল্লাপাড়ার সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পাট ব্যবসায়ী এবং গুদাম মালিকদের সঙ্গে কথা বলেন।