চাহিদা-জোগানের সূত্র মেনে নয়, পাইকারি বাজারে আলুর দাম ওঠানামা করছে সিন্ডিকেটের ইশারায়। রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদন আর সরকারি মজুতের সব হিসাব পাল্টে দিয়ে অতিরিক্ত দামের মাশুল গুনতে হচ্ছে ক্রেতাকে। এমনটাই অভিযোগ পাইকারি বিক্রেতাদের। তাদের দাবি, লাগাম টানতে হবে সরকারকেই।
রাজধানীর বাজারে মানভেদে ৩৫-৪০ টাকার পাইকারি দরের আলু খরচ মিটিয়ে খুচরায় বিক্রি হিবে ৫০ টাকায়। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, বন্যায় অন্য সবজির চড়া দামে আলুর ওপর চাপ পড়ায় সুযোগ নিচ্ছে পাইকাররা। তবে পাইকারদের দাবি, তারা যে দামে কিনেন তার থেকে ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করে দেন। দাম নিয়ন্ত্রণে বাজার তদারকি যেমন বাড়াতে হবে তেমনি কোল্ড স্টোরেজে রাখা আলু যেন বাজারে আসে সেই ব্যবস্থাও করতে হবে বলে মনে করেন তারা।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঘাটতি নেই সরবরাহে। আড়ত ঠাসা আলুর স্তূপে। কিন্তু দামে আগুন। বিক্রেতারা বলছেন, স্টোরেজের মহাজন আর ফড়িয়াদের ফোনের ইশারায় নির্ধারণ হয় দাম। সরকারের বেঁধে দেয়া দামে এক কেজি আলু বিক্রি করতে হবে ৩০ টাকায়, কিন্তু তাদের কেনাই পড়ছে ৩৮ টাকা কেজি দরে, এমন অভিযোগের কথা জানান বিক্রেতারা। কোল্ড স্টোরেজে দাম কমলেই বাজারেও আলুর দাম কমে আসবে বলে জানান তারা।
মাত্র কয়েক দিন আগে, এক রাতের ব্যবধানে পেয়াজের ঝাঁজ বেড়ে হয় কয়েক গুণ। কয়েক ঘণ্টার কারসাজিতে আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার অভিযোগ আছে অনেক অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। চড়ে যাওয়া সেই পেঁয়াজের দাম নামেনি এখনো। বাজারে আসা ক্রেতাদের প্রশ্ন, এবার কি তাহলে আলুর পালা?