করোনা টেস্ট নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ শরীফের আরও ২৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালত এ আদেশ দেন।
একই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজকে ২১ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। দুজনই ১০ দিনের রিমান্ডে ছিলেন। সেই রিমান্ড শেষে সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় তিন ও উত্তরা পূর্ব থানায় প্রতারণার এক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিন করে মোট ৪০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে চার মামলায় সাহেদের ২৮ দিন এবং তিন মামলায় মাসুদ পারভেজের ২১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
২৮ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর পাশাপাশি মো. সাহেদকে আরও দুই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। রিজেন্ট হাসপাতালের মালিকের বিরুদ্ধে করোনা পরীক্ষার নামে জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে প্রতারণার একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
কোভিড ১৯ নমুনা পরীক্ষার নামে জালিয়াতির অভিযোগে করা মামলায় বেসরকারি রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে গত ১৬ জুলাই ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এ ছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালের এমডি মাসুদ পারভেজকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। সাহেদের আরেক সহযোগী ও রিজেন্ট হাসপাতালের কর্মী তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলীর পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আবার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে ২৩ জুলাই পুলিশের কাছ থেকে সাহেদকে র্যাফবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে বোরকা পরে পালানোর সময় অবৈধ অস্ত্রসহ সাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাীব। তার বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতারের পরই তাকে হেলিকপ্টারযোগে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।