আবদুল্লাহ আল মামুন, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরবাসী অপরিকল্পিত নগরায়ন ও প্রয়োজনীয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতায় নাকাল হয়ে পড়েছে
পৌরসভার প্রায় সকল ওয়ার্ডেই কমবেশি জলাবদ্ধতার খবর পাওয়া গেছে। পৌর মহল্লায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এক পশলা বৃষ্টিতেই ডুবে যায় মহল্লার রাস্তাঘাট। এ সময় হাঁটুপানি ডিঙিয়ে চলতে হয় পৌরবাসীকে।
এ বিষয়ে কলারোয়া পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, পৌরসভার ভেতরের পানি নিস্কাশনের জন্য কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যে ড্রেনগুলো আছে সেগুলোও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যা বেশী দেখা দিয়েছে। আমরা একটি প্রকল্প স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এটা অনুমোদন হলে পৌরসভার জলাবদ্ধতা অনেকটা নিরসন হবে আশা করি।
পৌরসভা প্রতিষ্ঠার ৩৩ বছর পেরিয়ে গেলেও জলাবদ্ধতা, ডাস্টবিন ও পৌর রাস্তাঘাটের বেহাল দশা থেকে পৌরবাসী মুক্তি না পাওয়ায় তারা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সরেজমিনে কলারোয়া পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ডের দফাদারপাড়া, রেজিষ্ট্রি অফিস সংলগ্ন রাস্তা, ৫নং ওয়ার্ডের কোল্ডস্টোরেজ মোড়, ৬নং ওয়ার্ডের যুগিবাড়ী মোড়, ৭নং ওয়ার্ডের মুরারীকাঠি সরদারের মোড়ের রাস্তা, ৯নং ওয়ার্ডের শাপলা হলের পেছনের রাস্তা, উপজেলা পরিষদ এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে- এসব এলাকা সামান্য বৃষ্টির পানিতে নিমজ্জিত। এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে থাকায় মশা, সাপ, ব্যাঙ, কেঁচোর উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী।
পৌরসভার অনেক বাসিন্দা জানান, অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর নির্মাণ এবং মহল্লায় যাতায়াতের জন্য নির্মিত সড়কের সঙ্গে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি জমে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
দফাদারপাড়া এলাকার আতিয়ার রহমান জানান, মহল্লার পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণের জন্য মেয়রকে বারবার তাগাদা দিলেও তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি।গদখালী গ্রামের আব্দুল হাই জানান, ড্রেন নির্মাণের জন্য মেয়র এবং কাউন্সিলর বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা রক্ষা করেননি।
উপজেলা পরিষদ এলাকার বাসিন্দা মোস্তফা হোসেন বলেন, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে মহল্লায় জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। নামাজ আদায় করতে গেলেও হাঁটু পানি দিয়ে যেতে হচ্ছে।
এদিকে, অনুরূপ জলবদ্ধতার খবর পাওয়া গেছে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকাতেও।