আবদুল্লাহ আল মামুন, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগ উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান বিরুদ্ধে অনিয়ম, দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। শ্যামনগর উপজেলার ৭নং মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধা ও প্যানেল চেয়ারম্যান উৎপল জোয়ারদারের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে অনাস্তার দাবিতে ১১ জন ইউপি সদস্যরা ইউএনও বরাবর অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, মুন্সীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান অসীম মৃধা সরকারী/বে-সরকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সকল বাজেট (বরাদ্দ ও সুবিধাগুলি) ও প্যানেল চেয়ারম্যান উৎপল জোয়াদ্দার অনিয়ম, দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা করে আসছে। ইউনিয়ন পরিষদ হইতে সরকারী কোন কিছু সুবিধা পাইতে হলে, বা সরকারী কোন বরাদ্দ নিতে গেলে চেয়ারম্যান অসীম মৃধাকে ঘুষ দিতে হয়। যেমন টি,আর/কাবিটা,কাবিখা ১% এর বরাদ্দ এবং উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের বরাদ্দ নিতে হলে চেয়ারম্যানকে ৫০ হাজার টাকা অগ্রীম ঘুষ দিতে হয়। জনগনের ব্যবহারের জন্য সরকারী ভাবে বরাদ্দ বা এনজিও কর্তৃক বরাদ্দ যেমন-ড্রাম/টিউবওয়েল নিতে হলে ১৫ হাজার টাকা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিনামূল্যে দেওয়া ভিডব্লিউবি এর চাউলের কার্ড নিতে হলে ৭ হাজার টাকা, রেশন কার্ড ৫ হাজার টাকা, গর্ভকালীন ভাতা-৫ হাজার টাকা,টিসিবি পণ্য কার্ড-২ হাজার টাকা,বয়স্ক ভাতা ৩ হাজার টাকা,বিধবা ভাতা ৩ হাজার টাকা,প্রতিবন্ধী ভাতা ৩ হাজার টাকা,ভূমিহীন প্রত্যয়নপত্র ৩ হাজার টাকা,জেলে বাওয়ালী কার্ড ২ হাজার টাকা, জন্ম নিবন্ধন ফি ২৫০ টাকা,ওয়ারেন কায়েম ফি ২০০ টাকা,ট্রেড লাইসেন্স ৯২০ টাকা অসীম মৃধাকে ঘুষ দিতে হয়। অনেক প্রজেক্ট পি,আই অফিসে ও উপজেলা পরিষদে দাখিল করিয়া প্রজেক্ট মাফিক কাজ না করিয়া প্রজেক্টের টাকা সম্পূর্ণ আত্মসাৎ করে।
ইউপি সদস্যদের সম্মানী ভাতা প্রদান না করিয়া সম্মানী ভাতার টাকা নিজে আত্মসাৎ করে।উক্তরূপ কাজগুলি প্যানেল চেয়ারম্যান উৎপল জোয়ারদারের সার্বিক সহযোগিতা করে চলেছে।এ ছাড়া অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত দরখাস্ত প্রদান করেছেন।