লাবিব হাসান, পটুয়াখালী: সরকারী ছুটির দ্বিতীয় দিনে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবন, গঙ্গামতির চর ও বৌদ্ধ বিহার সহ সর্বত্র এখন পর্যটকদের আনাগোনা। আগত পর্যটকরা বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে সকাল থেকেই সমুদ্রের নোনা জলে উন্মদনায় মেতেছেন। কেউবা ঘুরছেন ঘোড়া কিংবা ওয়াটার বাইকে। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন সমুদ্রের তীরের আছড়ে পড়া বড় বড় ঢেউ। বর্তমানে সৈকতে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। আগতদের ভীড়ে বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার শতাধিক হোটেল মোটেল। বিক্রি বড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। আগত পর্যটকের নিরাপত্তায় বিভিন্ন পর্যটন স্পটে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত ট্যুরিষ্ট পুলিশ।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক দম্পতি মোসা: শানজিদা আক্তার জানান,আজকে কুয়াকাটায় এসে রুম পেতে অনেক কষ্ট হয়েছে, তাও আবার ডবল এক রুমের মধ্যে আমরা সবাই মিলে ছজন।এখানে এতো পর্যটক আসে এটা আমাদের জানা ছিলনা।
বেঞ্চি ব্যাবসায়ী আলামীন জানান, এবার বর্ষা মৌসুমে আজকের মতো পর্যটক আর হয়নি। তিন দিনের ছুটি আর মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কারনে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও পর্যটকের ঢল নেমেছে।
সিলেট থেকে আসা পর্যটক মোঃ লুৎফর রহমান বাবু বলেন, এ মেলাকে কেন্দ্র করে অনেক পর্যটক বেড়েছে। আমি এর আগেও বহুবার কুয়াকাটায় এসেছি। তবে আমি এত পর্যটক এর আগে কুয়াকাটায় দেখিনি। তবে যোগাযোগ ব্যবস্তাটা ভাল করা অতিব জরুরী।
হোটেল মোটেল অউনার এসোসিয়েশন সাধারণত সম্পাদক মোঃ মোতালেব শরীফ জানান, একদিকে তিন দিনের ছুটি আরেক দিকে মেলা একে কেন্দ্র করে বিগত দিনের চেয়ে অনেক পর্যটক বেড়েছে। আজকেও অনেক পর্যটক আসছে। কুয়াকাটায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার শুভদৃষ্টি কামনা করেন।
কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও কানসাই হোটেলের স্বত্বাধিকারী নাসির উদ্দীন বিপ্লব বলেন আমার হোটেলে সব রুম বুক হয়ে গেছে। পর্যটন ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে এভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে প্রতিনিয়ত পর্যটক বৃদ্ধি পাবে।
কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ জোনের ওসি হাসনাইন পারভেজ বলেন, কালকে থেকে পর্যটক আসা শুরু করেছে, আজকেও অনেক পর্যটক আসছে। আমরা তাদের নিরাপত্তায় প্রস্তুত আছি।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, আমরা পৌরসভা, উপজেলা প্রশাসন ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা মিলে পর্যটকদের বিনোদনের জন্য মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় হাজারো পর্যটকের আগমন ঘটেছে। আজকে বেশীরভাগ হোটেলে- মোটেলে রুম নেই। আমরা পর্যটকের সেবায় নিয়োজিত আছি।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, কুয়াটায় ব্যাপক পর্যটকের আগমন ঘটেছে। এখানকার পর্যটন ব্যবসায়ীরা যদি বিশেষ বিশেষ মুহুর্তে এভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তাহলে আরো পর্যটক আসবে। মহিপুর থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটকদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।