সরকারি অর্থে ঘর নির্মাণের প্রলোভন দেখিয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছেন ইউপি সদস্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঘর নির্মাণ করে না দেওয়ায় ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন ওই নারী। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার টনকি গ্রামে। মামলায় আসামি করা হয়েছে টনকি ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মজিবুর রহমানকে। ঘটনা তদন্তে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদালত কুমিল্লার পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার আদালত থেকে মামলার নথি পিবিআইয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, এক সিএনজি চালকের স্ত্রী একটি ঘরের জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিবুর রহমানের কাছে অনুরোধ করেন। ওই গৃহবধূকে একটি ঘর নির্মাণ করে দেয়ার আশ্বাসে তার বাড়িতে যাতায়াত শুরু করেন ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান। এক পর্যায়ে ঘরের প্রলোভন দেখিয়ে ওই গৃহবধূর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।
এভাবে বেশ কিছুদিন কেটে গেলে ঘর নির্মাণ না করে তালবাহানা করেন মজিবুর। গত ১০ই সেপ্টেম্বর ঘটে বিপত্তি। ফের শারীরিক সম্পর্ক করতে গেলে ওই গৃহবধূ বাধা দেন। এক পর্যায়ে জোর করলেও গৃহবধূ চিৎকার করেন। এসময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে মজিবুর পালিয়ে যান। পরে গৃহবধূকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে গৃহবধূ বলেন, আমি সুস্থ হয়ে ঘটনার দু’দিন পর থানায় মামলা করতে গেলে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা মামলা গ্রহণ না করে আদালতে অভিযোগ দায়েরের পরামর্শ দেন। পরে ১৪ই সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগ দায়ের করি। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শামীম মিয়া বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
উৎসঃ মানবজমিন