করোনাভাইরাস বিস্তারের ব্যাপক ঝুঁকির মধ্যে সবকিছু খুলে দিয়ে সরকার দেশকে চরম বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে মনে করে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই যে বলছে আগামীকাল থেকে সাধারণ ছুটিও থাকবে না গণপরিবহন খুলে দেওয়া হবে—এই বিষয়গুলো সরকার প্রথম থেকেই ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মনে হয়েছে যে কোথাও সমন্বয় নেই। তাদের (সরকার) সিদ্ধান্তগুলো সম্পূর্ণভাবে অপরিপক্কই নয়, অদূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবিহীন। শনিবার (৩০ মে) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, কোনও রকম চিন্তা ছাড়া একেবারে দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে এই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হচ্ছে। আমরা মনে করি যে, এটা একেবারে ভুল সিদ্ধান্ত এবং আরও চরম বিপদের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে দেশকে।
এসময় ফখরুল বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাত বার্ষিকীতে বিএনপি, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আমরা মাজারে এসে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছি, জিয়ারত করেছি, ফাতেহা পাঠ করেছি এবং তার রুহের মাগফেরাতের জন্য দোয়া করেছি।
বিএনপির তরফ থেকে জনগণের প্রতি পরামর্শ কী প্রশ্ন করা হলে মহাসচিব বলেন, জনসাধারণের প্রতি আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, আপনারা নিরাপদ থাকুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন এবং ঘরে থাকুন।
তিনি আরও বলেন, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাদের নির্বাচিত জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি পরামর্শ দিয়েছে এখনই একবারে একসঙ্গে সব খোলা উচিত হবে না। সরকার তাদের কথা না শুনে সবকিছু খুলে দিয়েছে। গোটা জাতি আরও হুমকির মুখে পড়ে গেছে।
সকাল ১১টায় জিয়ার ৩৯তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে বিএনপি মহাসচিব শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এ সময়ে মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাত বার্ষিকীর দিবসটি শুরুতে সকালে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। আগামী ১ জুন থেকে ১০ পর্যন্ত জিয়ার জীবন-কর্মের ওপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়ভিত্তিক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা হবে।