তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ ও সিলেট বিভাগ হাওর, নদী ছড়ার বৃহত্তম অংশ বেদখল হয়ে যাচ্ছে কোটি কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি। ভূমিদস্য এ চক্রটি সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল করে পাঁকা মার্কেট, বাড়ি নির্মাণ করেছে। শুধু তাই নয়, দখল করা জমিতে মার্কেট নির্মাণ করে নিজেরা ব্যবসার পাশাপাশি দোকান ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এছাড়াও মার্কেটের দোকান সহজ সরল মানুষের কাছে বিক্রিও করছে। এতে সরকার প্রতি বছর কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জমি উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এমনটাই প্রত্যাশা করেন সচেতন মহল।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভুড়ভুড়িয়া ছড়ার দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি উঠেছে পৌর এলাকার বিজিবি ক্যাম্পের দেয়াল ঘেঁষে প্রভাবশালী কয়েকটি পরিবার এর বিরুদ্ধে। তার মধ্যে কুয়েত প্রবাসী জালাল মিয়া তিনি বর্তমান নারী কাউন্সিলর সুইটি আক্তার এর ছোট বোনের স্বামী বলে জানা যায়। অপরজন সাবেক অবসরপ্রাপ্ত বিজিপি কর্মকর্তা জমির মিয়া আরো অজ্ঞাতনামা কাতার প্রবাসী সহ বেশ কয়েকটি পরিবার ছড়ার জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণের জন্য রীতিমতো পাইলিং এর কাজ সম্পন্ন করে বসবাস যোগ্য করে তুলেছেন।
তৎকালীন উপজেলা সহকারী ভূমি নেছার আহমেদ কর্মরত থাকা অবস্থায় সরজমিনে গিয়ে বাঁধা দিয়ে কাজ বন্ধ করেন। কিন্তু কিছুদিন পরেই অদৃশ্য শক্তির কাছে বাঁধা কাটিয়ে আবারও নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
অনুসন্ধানে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রীতিমতো বসবাস যোগ্য ঘরবাড়ি তৈরি করে নিয়েছেন তারা। বসবাসকারী তাদের সাথে কথা হয় এবং প্রশ্ন করলে তারা জানান তাদের বিগত দিনে সহকারী ভূমি এসিল্যান্ড বাঁধা দেওয়ায় পর ও কিভাবে নির্মাণ কাজ করলেন, তখন কথা এড়িয়ে গিয়ে আমাকে বিভিন্ন রকমের অনুরোধ ও প্রলোভন দেখিয়ে ঘরে যেতে অনুরোধ করেন। আমি তখন তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা যে সরকারি জমিতে অবৈধভাবে দখল করে বাড়ি নির্মাণ করেছেন তা কি আইনগত ঠিক হয়েছে কি না! তারা ভুল স্বীকার করে এবং চা পানের জোর চেষ্টা চালায়। আমি তৎক্ষণাৎ ঐ স্থান ত্যাগ করি।
এবিষয়ে জানিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শ্রী ভানু লাল রায় জানান, সরকারী ছড়াগুলো এভাবে দখল করে অবৈধ ভাবে বাড়ি ঘর নির্মাণ করতে থাকেলে ভবিষ্যতে পানির স্রোতে বাঁধার মুখে পড়ে শহরের জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করবে। এ বিষয়ে অচিরে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
পরে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও)কে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে অবহিত করি এবং জানতে চাইলে তিনি জানান, অবৈধভাবে ছড়া দখল করে বাড়ি নির্মাণের কোন সুযোগ নেই। যদি এমনটি করে থাকে তাহলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি দ্রুত এসিল্যান্ডকে অবহিত করছি তিনি যেন তদন্ত করে বিস্তারিত বিষয়ে অবহিত করেন সে বিষয়ে অবহিত করছি।