![InShot_20230119_143954665](https://banglaexpressonline.com/wp-content/uploads/2023/01/InShot_20230119_143954665.jpg)
দেশের শিক্ষানীতি নিয়ে ষড়যন্ত্র ও আলেম-ওলামাদের ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে কোর্টে হাজির করার বিষয়ে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার সকালে গণমাধ্যমে সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারী প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতারা এ প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন— হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা মুহাম্মাদ ইয়াহহিয়া ও মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান।
নেতারা বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশের মুসলমানের সন্তানদের ইমান আকিদা ও দেশপ্রেম ধ্বংসের জন্য শিক্ষানীতি প্রণয়নের দায়িত্ব ইসলামবিরোধী শক্তির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তারা মুসলমানের সন্তানদের নাস্তিক ও হিন্দুত্ববাদী মানসিকতা তৈরি করার জন্য শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে। শিক্ষা সিলেবাসের পরতে পরতে নাস্তিকবাদ ও হিন্দুত্ববাদ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ডারউইনের কুখ্যাত নাস্তিকবাদ ও আরএসএসের হিন্দুত্ববাদ দিয়ে ভরে ফেলা হয়েছে শিক্ষার্থীদের সিলেবাস। বানর থেকে মানুষ সৃষ্টির কুরআন-হাদিসবিরোধী মতবাদ পাঠ্যবইয়ে সংযোজন করা হয়েছে। হিজাব থেকে শুরু করে দাড়ি-ইসলামের এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনার বিষয়ে ঘৃণা ছড়ানো হয়েছে।
তারা আরও বলেন, আমাদের বারবার আশ্বস্ত করা হয়েছিল পাঠ্যবইয়ে ইসলামবিরোধী কিছু থাকবে না। কিন্তু সেই কথা রাখা হয়নি। সর্বোচ্চ মহলের কাছে দাবি জানানোর পরও ইসলামবিরোধী মতবাদগুলো কেন পাঠ্যবইয়ে থাকল, তা আমাদের বোধগম্য নয়।
শিক্ষার্থীদের হাতে ইসলামবিদ্বেষী এসব বই-পুস্তক তুলে দেওয়া হয়েছে— এমনটি জানিয়ে হেফাজত নেতারা বলেন, জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আমরা জানতে চাই, কারা এহেন গুরুতর অপকর্ম করেছে? তাদের সামনে আনা হোক। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে বিচারের মুখোমুখি করা হোক। একই সঙ্গে এ শিক্ষা সিলেবাসে থাকা ইসলামবিরোধী বিষয়গুলোসহ অসঙ্গতিপূর্ণ সব বিষয় বাতিল করে নতুন সিলেবাস প্রণয়ন করতে হবে। এ সিলেবাসে একদিনও পাঠদান আমরা মেনে নিতে পারি না।
এ ছাড়া হেফাজতে ইসলামের মামলায় কারাবন্দি আলেম-ওলামাদের আদালতে হাজির করার সময় সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ডাণ্ডাবেড়ি পরানো হচ্ছে এমনটি দাবি করে নেতৃবৃন্দ জানান, এ ঘটনা শুধু অমানবিক যে তা নয়, বেআইনিও। এভাবে আলেমদের লাঞ্ছিত করা কারও জন্য শুভ হবে না। আলেমরা দেশের শত্রু বা সন্ত্রাসী না। তাদের এভাবে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে তোলা চরম অমানবিক।