আধিপত্য বিস্তার ও জেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরের নড়িয়ায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলা শহরের ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে নড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি উপজেলা সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন মোস্তফা ও নড়িয়া পৌরসভার সাবেক যুবলীগের সভাপতি মো. ইউনুস শেখ নির্বাচন করেন।
দুজনই নির্বাচনে হেরে যান। এরপর থেকেই দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জের ধরে তাদের মধ্যে আজ নড়িয়া ব্রিজের কাছে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও শতাধিক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপর দুই পক্ষের সমর্থকরা অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান।
এ সময় নড়িয়া থানার এএসআই ফরহাদ, কনস্টেবেল জুয়েল, রাকিব (১৯), সিহাব (১৮), মাছুম (৪৮), ইমান হোসেন (২৪) সম্রাট হোসেন (২৭), জাহ্ঙ্গাীর হোসেনসহ (২৬) অন্তত ২০ জন আহত হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩০/৪০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
উপজেলা সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন মোস্তফা বলেন, আমার সমর্থকরা নড়িয়া বাজারে গেলেই অপমান করে মোক্তারের চর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. বাদশা শেখ ও তার ছেলে মো. ইউনুস শেখরা। আজ আমি মোটরসাইকেলে নড়িয়া যাওয়া সময় আমার পেছনে এক যুবলীগ নেতা ছিল। তাকে মারধর করে ইউনুস শেখসহ তার সমর্থকরা। এর জের ধরে সংঘর্ষ শুরু হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে নড়িয়া পৌরসভার সাবেক যুবলীগের সভাপতি মো. ইউনুস শেখ বলেন, মামুন মোস্তফার ছোটভাই মিলন আমার সমর্থককে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এর জের ধরে সংর্ঘষ হয়।
নড়িয়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩০/৩৫ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।