লক্ষ্মীপুরে রাশেদ মাহমুদ নামে এক সিঙ্গাপুর প্রবাসীর বসত বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। রোববার সন্ধ্যায় পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের নুরুল আমিন কাঞ্চনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। রাশেদ ওই বাড়ির নুরুল আমিন কাঞ্চনের ছেলে।
প্রবাসী পরিবারের অভিযোগ, টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে আরেক সিঙ্গাপুর প্রবাসী তারেকের ভাই আতিক তামিমের নেতৃত্বে হামলাকারীরা তাদের ভবনে ঢুকে চেয়ার, টেবিল এবং আলমারি ভাংচুর ও নগদ টাকা লুটে নেয়। অভিযুক্ত একই এলাকার জামালের ছেলে।
প্রবাসী রাশেদের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার বলেন, মাগরিবের আযানের পরপরই ৬ জন লোক তাদের ভবনের ভেতর ঢুকে। এ সময় ঘরে কোন পুরুষ ছিল না। তারা তিনজন নারী ও তার শিশুপুত্র ঘরে ছিল। হামলাকারীরা তার স্বামীকে খোঁজ করতে আসে। কিন্তু আমার স্বামী বাড়িতে ছিল না। ব্যক্তিগত কাজে সে ঢাকাতে আছে। তাকে না পেয়ে হামলাকারীরা ঘরের আসবাবপত্র এলোপাতাড়ি ভাংচুর করে এবং টাকা লুটে নেয়। বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেছি। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
রাশেদের মা রিপা বেগম বলেন, আমার ছেলে আরেক সিঙ্গাপুর প্রবাসী তারেকের কাছ থেকে টাকা পাবে। কিন্তু সে উল্টো আমার ছেলের কাছ থেকে টাকা দাবি করে তাকে হয়রানি করছে। এর জের ধরে এ হামলা চালানো হয়েছে।
মুঠোফোনে রাশেদ মাহমুদ বলেন, আমি আর তারেক একসাথে সিঙ্গাপুরে কাজ করতাম। তারেক আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে টাকা ধার নেয়। কিন্তু সে টাকা না দিয়েই দেশে চলে আসে। পরে আমি তার কাছে টাকা চাইলে সে উল্টো আমার কাছে টাকা পাবে বলে থানায় অভিযোগ দিয়েছে। এ ব্যাপারে আমি আদালতে মামলা করেছি। তারেক আমাকে হয়রানি করছে। এখন তারেকের ভাই লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে গিয়ে আমাকে না পেয়ে বাড়িতে হামলা করেছে। বাড়ির নারীদের লাঞ্ছিত করেছে। আমি পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।
অভিযুক্ত তারেকের ভাই আতিক তানিম বলেন, আমরা মাত্র দুইজন রাশেদের খোঁজে তাদের বাড়িতে গিয়েছি। কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মো. ইসমাইল বলেন, ৯৯৯-এ অভিযোগ পেয়ে প্রবাসী রাশেদের বাড়িতে যাই। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। প্রবাসী পরিবারকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ায় পরামর্শ দিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: দৈনিক আমাদের সময়